“আমি চলমান প্যাকেজের বাইরে বাড়তি কিছু সাহায্য চেয়েছি,” বলেন তিনি।
Published : 17 Sep 2024, 04:15 PM
বিশ্ব ব্যাংক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চলমান ঋণের পাশাপাশি বাড়তি কিছু অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, “আজকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে একটা নিয়মিত ও ধারাবাহিক আলোচনা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান। তাদের কাছ থেকে আর্থিক ও কারিগরি সাহায্য চেয়েছি।
“আমাদের সংস্কারগুলোর জন্য সহায়তা দরকার; সহসা একটা বাজেট সাপোর্ট দরকার। লিকুইডিটি সাপোর্ট চেয়েছি। ওরা দিতে সম্মত হয়েছে। আমি চলমান প্যাকেজের বাইরে বাড়তি কিছু সাহায্য চেয়েছি। ওরাও দিতে সম্মত হয়েছে। মোটামুটি ইতিবাচক। ওরা বেশ খোলামনে আলোচনা করেছে।"
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। ওই প্রতিনিধি দলে বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ম্যাথিউ এ ভারগিস নেতৃত্ব দেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চিতি বা রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি, যা দুবছর আগের সময়ের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এর মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি আমদানি, মেগা প্রকল্পের জন্য চীন, রাশিয়া এবং দাতা সংস্থাগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে নতুন ঋণ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার ঋণের সুদহার পর্যালোচনা করছে মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার।
বিশ্ব ব্যাংকের কাছে দুই বিলিয়ন ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমি বিলিয়ন বা টাকার অংকের কথা বলব না। এই বছরের জন্য তারা একটা বাজেট সহায়তা দেবে। আমরা আরও কিছু এক্সপেক্ট করেছি। কী কী প্রকল্প আমরা নেব, সে অনুযায়ী সেটা চূড়ান্ত হবে।"
বিশ্ব ব্যাংক ঋণের সঙ্গে কোনো শর্ত দিচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন বলেন, “শর্ত নয়, আমাদেরকে কতগুলো অ্যাকশন নিতে হবে। আমরা বলেছি যে, ওটা যেন বাস্তবায়নযোগ্য হয়।
“এমন অ্যাকশন নেওয়া যাবে না, যেটা আমাদের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এবং পরে টাকাও দেবে না। তাহলে তো হবে না।”
তিনি বলেন, “আমরা সোজাসুজি বলেছি যে, আমাদের সংস্কারের জন্য যেসব বিষয় বাস্তবায়ন যোগ্য হয়- সে ধরনের অ্যাকশন যেন আমাদের দেওয়া হয়।"