ডলার বিক্রি ও আকু পেমেন্ট করলে রিজার্ভ কমে। আর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ ও বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনলে রিজার্ভ বাড়ে।
Published : 01 Aug 2024, 09:55 PM
জুনের শেষ দিনের তুলনায় জুলাইয়ের শেষ দিন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
জুলাই মাস শেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার, জুন শেষে যা ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হালনাগাদ তথ্যে বৃহস্পতিবার এ তথ্য পাওয়া যায়।
গত মাসের ১০ তারিখে মে-জুন সময়ে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর আমদানি বিল ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করাই এর কারণ।
সেদিন রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, এর তিন সপ্তাহ পর জুলাইয়ের শেষে রিজার্ভ কেবল ২ কোটি ডলার বাড়ে।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি ঋণপত্র বা এলসি খোলার কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে, যদিও ডলার বিক্রির পরিমাণ আগের চেয়ে কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ডলার রাখার একটা সীমা থাকে, তার চেয়ে বেশি ডলার ব্যাংকে থাকলে অনেক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনেও নেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ডলার বিক্রি ও আকু পেমেন্ট করলে রিজার্ভ কমে। আর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ ও বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনলে রিজার্ভ বাড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, জুলাই শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, জুন শেষে তা ছিল ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন।
জুলাইতে প্রথমবারের মত নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল বিদেশি মুদ্রার নিট সঞ্চিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের চুক্তি বাস্তবায়নে জুন পর্যন্ত নিট রিজার্ভ কমপক্ষে ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রাখার শর্ত ছিল। সেই শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে নিট রিজার্ভ গণনা করা হয়। গ্রস বা মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ জানা যায়।
নিট রিজার্ভের তথ্য এর আগে কখনই প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের পর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করছে।