অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপসারণ, ঋণ বিতরণ বন্ধ এবং নিয়োগ-পদোন্নতির রাশ টানার পর এবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
Published : 29 May 2014, 04:24 PM
শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু নেতৃত্বাধীন আটজনের এই পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে বেসিক ব্যাংকের পর্ষদের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ও ৪৭ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে”
কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার এখতিয়ার রাখে না। তবে ভেঙে দিতে সরকারকে পরামর্শ দিতে পারে বলে ওই ধারা দুটিতে উল্লেখ রয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হলেন আব্দুল হাই বাচ্চু। সদস্যরা হলেন-শুভাশীষ বোস, শ্যামসুন্দর সিকদার, নীলুফার আহমেদ, কামরুন নাহার আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম ও আনিস আহমেদ। তাদের সঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকার বলে সদস্য।
গত ২৬ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করে। পরদিন ঢাকার গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখার ঋণ বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
এরপর বেসিক ব্যাংকের নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বেসিক ব্যাংককে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় বেসিক ব্যাংকের বিষয়ে এসব পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে দৃষ্টান্তমূলক বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃত বেসিক ব্যাংক নিয়ম-নীতি মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ভালো মুনাফা করছিল। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের দায়িত্ব নেয়ার পরই শুরু হয় বিপর্যয়।
বেসিক ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ হলে পরিচালনা পর্ষদ চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল একজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৬ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।