বেসরকারি কমিশনের এই প্রস্তাব বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ফেরত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব জয়নাল আবেদীন।
সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়।
সম্পদ মূল্যের অর্ধেক দামে মাগুরা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড বিক্রির প্রস্তাব দেয় বেসরকারি কমিশন।
দরপ্রস্তাব করা হয় প্রায় ৬০ কোটি টাকা। অথচ এ দুটি মিলের দায়দেনা হিসেবে সরকারকে পরিশোধ করতে হবে প্রায় ১৭৪ কোটি টাকা।
বেসরকারিকরণ কমিশনের কাছে বিক্রির তালিকায় থাকা মনোয়ার জুট মিলসটি বিক্রির তালিকা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়নাল আবেদীন।
মিলটি পুনরায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
এছাড়া চিত্তরঞ্জন কটন মিলসের জমিতে টেক্সটাইল পল্লী স্থাপনের কার্যক্রম বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের ওপর ন্যস্ত করার প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
বেসরকারিকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান মির্জা আবদুল জলিল আশা করছিলেন, মাগুরা ও রাঙ্গামাটি বস্ত্রকল বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন পাবে।
এর আগেও সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে মিল দুটি বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠক থেকে প্রস্তাব দুটি ফিরিয়ে দেয়া হয়।
মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো বেসরকারিকরণ কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাগুরা টেক্সটাইল মিলের দৃশ্যমাণ সম্পদের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১৬ দশমিক ১৭ একর জমির মূল্যই ৪৭ কোটি টাকা। কারখানাটিতে ২৫ হাজার ৫৬টি টাকু রয়েছে। এর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৬ লাখ কেজি সুতা।
মিলটি কেনার জন্য সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মেসার্স কবির এন্টারপ্রাইজ ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রস্তাব করেছে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি আরো আড়াই কোটি টাকা বৃদ্ধি করে মোট ৩১ কোটি টাকার দরপ্রস্তাব করেছে।
অথচ বিক্রির পরও মিলটির দায়দেনা হিসেবে ১০৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে সরকারকেই।
অন্যদিকে, রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলের দৃশ্যমান সম্পদের মূল্য ৫৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর ২৬ দশমিক ২৪ একর জমির মূল্য ধরা হয়েছে ২১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। কারখানাটিতে ১৮ হাজার ৫৭৬টি টাকু রয়েছে। এর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৪ লাখ ৭৪ হাজার কেজি সুতা।
মিলটি কেনার জন্য সাত্তার এন্টারপ্রাইজ ২৮ কোটি ১০ লাখ টাকা দরপ্রস্তাব করেছে। এরপর এক কোটি টাকা দর বাড়িয়ে তা ২৯ কোটি ১০ লাখ করা হয়েছে। এ মিলটিও বিক্রির পর সরকারকে দায়দেনা হিসেবে পরিশোধ করতে হবে ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
মাগুরা টেক্সটাইল মিলস ২০০৮ সালের মে মাস থেকে এবং রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিলস ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ রয়েছে।