অর্থমন্ত্রী ধনীদের প্রাধান্য দিয়ে বাজেটের অঙ্ক মিলিয়েছেন: ফিরোজ

অর্থমন্ত্রী ধনীদের প্রাধান্য দিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2022, 05:56 PM
Updated : 26 June 2022, 05:56 PM

রোববার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় তিনি বলেন, “বাজেট পড়ে বলা যায়, সুখে থাকা মানুষগুলো বোঝে না গরীবের দুঃখ কষ্ট কী; স্বপ্ন দেখা মানুষগুলো বোঝে না বাস্তবতা কত নির্মম, কত কঠিন।

“অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি, একজন স্বনামধন্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, প্রথম শ্রেণীর ধণাঢ্য শিল্পপতি, সর্বোপরি উনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। যে কোনো জটিল হিসাব ওনার কাছে মিলিয়ে দেওয়া অত্যন্ত সহজ। এই বাজেটেই তার প্রতিফলন আমরা দেখলাম।”

“অর্থমন্ত্রী এই বাজেটে তেল আর জল এমন সূক্ষ্মভাবে মিশিয়েছেন যে, তা আর আলাদা করা সম্ভব নয়। ধনীদের চেহারা সামনে রেখে উনি এই বাজেট প্রণয়ন করেছেন। ওই সময় মনে হয়, উনার কাছে গরিবের অঙ্কটা একদমই ছিল না,” বলেন ফিরোজ।

মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা রক্ষাই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির এই নেতা।

তিনি বলেন, “আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আজ লুটেরাদের দখলে চলে গেছে। এ খাতে অবাধ লুটপাট চলছে। মনে হয় কেউ দেখার নেই। ব্যাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সংস্থাগুলো নীরব। কীভাবে পি কে হালদার আট হাজার কেটি টাকা নিয়ে দেশের বাইরে চলে গেল?

“বছরের বছর বছর এই টাকা সে চুরি করেছে। এটা তো একদিনে হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানে তো নিয়মিত অডিট হয় তাহলে এতগুলো টাকা গেল কীভাবে? ছয় জন বান্ধবীকে নিয়ে ১৩৩ বার বিদেশ ভ্রমন করেছে। কারো চোখে পড়েনি? দেশের টাকা বিদেশে গেছে। এই টাকা তো ফিরবে না।”

তিনি বলেন, “এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংক থেকে টাকা নেয়। আবার ওই ব্যাংকের পরিচালন নেয় এই ব্যাংক থেকে। একে অপরের সাথে যোগজাশসে এটা করছে। কোন বিনিয়োগ হচ্ছে না।”

ফিরোজ বলেন, “আমাদের দেশের টাকা যা পাচার হওয়ার তা হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী উদারভাবে বলেছেন, যে বাইরে থেকে টাকা আনা গেলে তা ৭ শতাংশ (কর প্রদান)। এটা অনৈতিক হলেও আমি সমর্থন করি। এই টাকা তো চলে গেছে। অর্থমন্ত্রীর সৎ পরামর্শ শুনে যদি কেউ আনে।”

তবে পাচার করা অর্থ ফেরতে কর ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি।