বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার সংসদে জানিয়েছেন, ২ লাখ টন গম বাংলাদেশে রপ্তানি করতে রাশিয়া প্রস্তাব দিয়েছে।
এনিয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক দফা আলোচনা হয়েছে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় জেরবার রাশিয়া।
এরপর রাশিয়া বাংলাদেশকে গম ও জ্বালানি তেল রপ্তানির প্রস্তাব দিলেও পশ্চিমাদের রোষে পড়ার ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ সে পথে এগোয়নি।
এই সময়ে রাশিয়া বাণিজ্যের পথ খোলা যে কঠিন, তা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, “আমরা গরিব দেশ, ছোটোখাটো দেশ, আমাদের উপর মাতব্বরি একটু বেশি।”
তবে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানির পথে এগিয়ে যাওয়ার পর এখন বাংলাদেশও সেই পথে চলতে চাইছে।
খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গম আমদানি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা গম আমদানির প্রস্তাব করেছি। তারাও রপ্তানি করার আগ্রহ দেখিয়েছে।”
আগামী ৪ জুলাই আরেক দফা আলোচনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “সেখানে আরও কিছু বিষয় চূড়ান্ত হবে।”
রাশিয়া থেকে গম আমদানি করলে ডলারেই মূল্য পরিশোধ হবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাশিয়ার থেকে সার ও খাদ্য আমদানির বিষয়ে একটি এমওইউ রয়েছে। বাংলাদেশ ডলারেই আমদানি মূল্য পরিশোধের কথা বলেছে।”
৬০ দিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে রাশিয়াকে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে।
দেশে বছরে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশি জোগান ছাড়াও বেসরকারিভাবে প্রায় ৫৩ লাখ টন গম আমদানি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে আমদানি হয়েছে ২৩ লাখ টন।