তিনি বলেছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার কোম্পানি চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি) ওই ধরনের কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়নি।
তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সরবরাহকারী বাংলাদেশি জনসংযোগ কোম্পানিটি দাবি করেছে, চীনা কোম্পানির পক্ষেই তারা তা পাঠিয়েছিল।
গত বুধবার ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ কারণে গত সেপ্টেম্বরের আগ পর্যন্ত তারা আর কোনো পাওনা পায়নি।
পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি ও রেল পারাপার একই সময় শুরুর ঘোষণা থাকলেও রেল সংযোগ প্রকল্পে তহবিল সঙ্কটের বিষয়টি সিআরইসির চোখে ধরা পড়ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বৃহস্পতিবার রেলভবনে রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ বা সংস্কারসহ ওয়াশ (ডব্লিউএএসএইচ) ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং পারস্পরিক শিখন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী সুজনের কাছে এর প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা।
মন্ত্রী প্রথমেই বলেন, “প্রকল্প পরিচালকের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। যে সোর্স থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে, তারা দাবি করেছে তা তারা করেনি।”
সিআরইসির পক্ষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছিল জনসংযোগ কোম্পানি ফোরথট পিআর।
ওই কোম্পানির এক্সিকিউটিভ আরিফুল হক চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে সিআরইসির সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে।
রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, “যে প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে, এটা চায়নার জিটুজি অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও চায়নার।
“এখানে কাজের উপর ভিত্তি করে পার্ট বাই পার্ট পেমেন্ট হয়। এখানে পরামর্শক সুপারিশ করে, কনসালটেন্ট কাজের মান দেখভাল করে, প্রকল্প পরিচালক এসব সমন্বয় করে। তারা বলল, বিল পাননি, তারা বিল পাবে, এটা তো কনটিনিউয়াস প্রসেস।”
এর মধ্যে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে চীন। বাকি অর্থ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ভাঙ্গা, নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল সংযোগ তৈরি হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
২০২৪ সালের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের (সিআরইসি)।
২০২০ এর মধ্যে ১০০ কোচ সরবরাহের কথা থাকলেও বাংলাদেশ রেলওয়ে এখনও কোচগুলো নির্মাণের কোনো নির্দেশনা দেয়নি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানায় সিআরইসি।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “যে কোচের কথা বলা হচ্ছে সেটি ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারিত। আজ মাত্র ২১ সাল। এটি অর্ডার দেওয়ার জন্য প্রকল্পভুক্ত আছে। আরও ৬ মাস পর দিলে সমস্যা কোথায়?
“প্রকল্প চালানোর জন্য রেলগুলো কিনব, এ যুক্তি টেকে না। তাদের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তারা তো আমাদের জানাবে। এটা তো পত্র পত্রিকার বিষয় না।”