শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তার এমন বক্তব্য আসে।
মন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশের উপরের মহলের ৩ থেকে ৪ শতাংশ লোক মনে করে ভাষাগত কারণে আমরা অনুন্নত বা পিছিয়ে রয়েছি। তারা মনে করেন, ইংরেজি না জানার ফলে আমাদের প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেছে। তারা বিশাল বিশাল মানুষ, পণ্ডিত মানুষ, এমনকি শক্তিশালী মানুষ। তাদেরকে অনুসরণ করে অন্যরাও এ ধরনের কথা বলেন।
“আমি নিজে এ বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করলাম, কেন তারা এটা করে। আসলেই কি ভাষার সঙ্গে বৈশ্বিক উন্নতির সরাসরি কোন যোগসূত্র আছে?”
মান্নান বলেন, “আমাদের পূব দিকে তাকালে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে চীন, জাপান, কোরিয়া। তাদের উন্নয়ন আমাদের দেশের থেকে অনেক বেশি। তারা খেয়ে পরে সুখে আছে।
“তাদের শৃঙ্খলা পরায়ন জীবন, ট্রাফিকের কোনো সমস্যা নেই, আচার-আচরণ খুবই ভালো। কিন্তু ইংরেজি তো দেখলাম না কোথাও। সর্বত্রই আমি তাদের নিজস্ব ভাষা ব্যবহার করতে দেখেছি।”
সাবেক আমলা মান্নান বলেন, “আমাদের দেশের এই ধারণা থেকেই আমি চিন্তা করলাম, হয়তো ভাষার সাথে উন্নয়নের কোনো সম্পর্ক নেই।”
ভাষা নিয়ে হীনমন্যতায় না ভোগার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “নিছক আমাদের প্রয়োজনেই আামাদের ভাষায় ফিরে যেতে হবে। নইলে আমাদের সঙ্গে দেশের মানুষের যে একটা ফারাক, এটা বাড়তে থাকবে।”
পরিকল্পনা মন্ত্রীর মতে, বর্তমানে গ্রামের মানুষের সাথে শহরের মানুষের যে ফারাক, তার প্রধান কারণ হল ভাষা।
“আমরা যদি পুরোপুরি মাতৃভাষায় ফিরে যাই এবং মাতৃভাষাকে সামনে রাখি, তাহলে উন্নয়নের বিষয়গুলোও মোকাবেলা করতে পারব।”
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মো. মামুন আল রশিদ, আর্থ সামাজিক বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগমসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।