ঘাস চাষ: বিদেশ সফরে বরাদ্দ কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ঘাস চাষ শেখার জন্য বিদেশ সফরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কর্মকর্তার সংখ্যা ও বরাদ্দ কমানোর পাশাপাশি ‘সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় লোক’ ছাড়া অন্য কাউকে বিদেশে না পাঠাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2020, 04:16 PM
Updated : 24 Nov 2020, 04:16 PM

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘প্রাণীপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাসের চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ শীর্ষক প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় সরকারপ্রধান এই নির্দেশনা দেন।

ঘাস চাষের কৌশল শিখতে ডজন তিনেক কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ রাখায় এ প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা চলছে গত কয়েক দিন ধরে।

পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্প প্রস্তাবে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে উন্নত পুষ্টি সমৃদ্ধ ঘাসের চাষ শিখতে ৩২ সরকারি কর্মকর্তার বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রত্যেকের পেছনে খরচ হবে ১০ লাখ টাকা করে।

সমালোচনার মধ্যেই মঙ্গলবার প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) তোলা হয়। সেখানে বিস্তারিত আলোচনার পর প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয় বলে জ্যেষ্ঠ সচিব আসাদুল ইসলাম জানান।

বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রকল্পটির আওতায় বিদেশ সফর নিয়ে সংবাদপত্রে রিপোর্ট হয়েছে, এটা সভার নজরে আনা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশ সফরের সংখ্যা এবং বরাদ্দ কমাতে হবে। ওই সফরে যাতে সংশ্লিষ্ট লোকজন ছাড়া বাইরের কাউকে বিদেশ পাঠানো না হয়, এই নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।”

আসাদুল ইসলাম বলেন, “এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটা ভালো প্রজেক্ট। এটা আমাদের দরকার আছে।… এর আগে আমরা ভূট্টা চাষের ফলে গো খাদ্যের উন্নতি হয়েছে। এটাও উৎসাহিত করা হবে’। এরপর বিস্তারিত আলোচনা শেষে প্রকল্পটি অনুমোদন দেন।”

কক্সবাজারের খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়েও এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়।

সচিব জানান, কক্সবাজারে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কিম্বা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদেরকেই খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

“প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের কারণে কিম্বা কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করার কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের একটা তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই তালিকার ভিত্তিতে ওই আবাসন প্রকল্পে পূণর্বাসন করতে হবে।”