বুধবার অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল দেশে না থাকায় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এদিন বৈঠক হয়। পরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বৈঠকের বিভিন্ন তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, ক্রয় সংক্রান্ত সভায় এদিন শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে ২৫ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৫৫ কোটি ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ৫৬২ টাকায় সৌদি আরবের বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (এসএবিআইসি) থেকে এই সার সংগ্রহ করবে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
আর কাতার থেকে আরও ২৫ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।
কাতার কেমিকেল অ্যান্ড পেট্রোকেমিকেল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনটাজাত) ৫৭ কোটি ৯২ লাখ ৫২ হাজার ৮১২ টাকায় ওই সার বাংলাদেশের বিসিককে সরবরাহ করবে।
এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বাস্তবায়নে থাকা আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট: রাজউক পার্ট (প্রথম সংশোধন) প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন দুই তলা বেইজমেন্টেসহ ১০ তলা ‘রিসার্চ, ট্রেইনিং অ্যান্ড টেস্টিং ল্যাবরেটোরি ফ্যাসিলিটিজ ফর আরবান রেজিলিয়েন্স’ ইউনিটের কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় বৈঠকে।
১১৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩৩ টাকার এ কাজটি পেয়েছে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইনঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড।
চট্টগ্রাম ওয়াসার বাস্তবায়নে থাকা ‘চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা বুস্টার পাম্প স্টেশন পর্যন্ত সঞ্চালন এবং আনুষঙ্গিক বিতরণ পাইপ লাইন নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মস্ত্রিসভা কমিটি।
তাতে আগের চুক্তিমূল্যের ২১৩ কোটি ৪৮ লাখ ১৫ হাজার ২৪৮ টাকা থেকে ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪০ টাকা ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৫ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮ টাকা।
আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জানান, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে অতিরিক্ত মোগ্যাস (অকটেন ৯৫ আরওএন) আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।