মহামারীর ধাক্কা সামলাতে কৃষিতে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ

কোভিড-১৯ মহামারী শেষে দ্রুত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং খাদ্য নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে কৃষিভিত্তিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর পরামর্শ এসেছে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2020, 12:02 PM
Updated : 1 Sept 2020, 12:02 PM

ফ্রান্স-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টি (সিসিআইএফবি) এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) আয়োজিত সম্প্রতি ভার্চুয়ালি এই আলোচনা অনুষ্ঠান হয়।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউস করোনাভাইরাস সঙ্কট পরবর্তী দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিভিত্তিক উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন বলেন, “বাণিজ্যিক ও কৃষি উদ্যোক্তা পর্যায়ে এসএমই ঋণের চাহিদা পূরণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে ক্রেডিট গ্যারিান্টি স্কিম উল্লেখযোগ্য। লাইভস্টক এবং অ্যাকুয়াকালচারসহ সব এগ্রোভিত্তিক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ সরকারের এই স্কিমের অধীনে পড়বে।”

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং রপ্তানিতে কৃষির অবদান বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আরও একটি বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন করবেন বলে জানান মুখ্যসচিব।

সিসিআইএফবির সভাপতি সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে কৃষি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান, আয় এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে জিডিপিতে কৃষির অবদান প্রায় ১৩ ভাগ। কর্মসংস্থানে এর ৪০ ভাগ অবদান থাকলেও এটা আমাদের কর্ম উৎপাদনশীলতাকে নির্দেশ করে।”

তিনি বলেন, “করোনা শহরের কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ এবং গ্রামে ফিরে আসা প্রবাসীদের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এই দুর্যোগের সময়ে আমাদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে কৃষি। মহামারী রূপে করোনা আঘাত করার সাথে সাথে আমরা খাদ্য ও জীবিকার জন্য কৃষির দ্বারস্থ হয়েছি।”

অনুষ্ঠানে কৃষিতে ভারসাম্যপূর্ণ কর্মসংস্থানের জন্য কিছু সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।

যেমন- ১. কৃষিতে নতুন উদ্ভাবন এবং দক্ষ মানব-সম্পদের জন্য ডিপ্লোমা এবং ভোকেশনাল শিক্ষায় বিনিয়োগ। ২. পাঠ্যপুস্তকে প্রায়োগিক কৃষি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া ৩. ইন্টার্নশিপ ও আইডিয়া কম্পিটিশন চালু।

বিডার এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড স্ক্রিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক একেএম হাফিজুল্লাহ খান বলেন, তার প্রকল্পের অধীনে আগামী দুই বছরের মধ্যে নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে ব্যবসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করবেন। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার শেষে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগ ৩৪ ভাগে উন্নীত করা এই প্রকল্পের একটি উদ্দেশ্য।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যনে সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষিভিত্তিক শিল্পে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বাড়াতে বিডা কাজ করে যাবে।