মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন অর্থবছর; মহামারীকালে অর্থনৈতিক সঙ্কটে মানুষ কম কিনছে বলে তার প্রভাব এতে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Published : 23 Aug 2020, 05:55 PM
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) রোববার মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি) সার্বিক (সাধারণ) মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
আগের মাস জুনে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ০২ শতাংশ। আর গত বছরের জুলাইয়ে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
বিবিএসের পরিসংখ্যান বলছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমায় জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী।
জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, জুনে যা ছিল ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত বছরের জুলাইয়ে ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
তবে জুলাইয়ে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। জুনে এই হার ছিল ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। জুলাইয়ে হয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে, যা সরকারের লক্ষ্যের চেয়ে বেশি ছিল।
৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ গড় মূল্যস্ফীতি নিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষ করার পর গত অর্থবছর তা ৫ দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরেছে সরকার।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাজারে জিনিসপত্রের সরবরাহের কোনো সমস্যা হয়নি, দামও খুব একটা বাড়েনি। তবে বন্যার কারণে শাক-সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।
“সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, কোভিড-১৯ এর কারণে মানুষের আয়-উপার্জন কমে গেছে, ক্রয়ক্ষমতাও কমেছে। সে কারণে এখন কম জিনিসপত্র কিনছে মানুষ। কেনা-বেচা কম হওয়ার কারণে হয়ত মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হয়ে থাকতে পারে।”
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ০২ শতাংশ। জুলাই মাসে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ; জুনে ছিল ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
জুলাইয়ে গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ: জুনে ছিল ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ।
জুলাইয়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে শহরাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। এরমধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ; খাদ্য বহির্ভূত ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।