বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী, যা বাস্তবায়ন করতে গেলে তাকে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে, নির্ভর করতে হবে ঋণের উপর।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা বাংলাদেশ চলতি অর্থ বছরের জন্যও ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছিল।
কিন্তু মহামারীর মধ্যে দুই মাসের লকডাউন আর বিশ্ব বাজারের স্থবিরতায় তা বড় ধাক্কা খেয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা পুরোপুরি আত্মপ্রত্যয়ী ছিলাম যে এ বছর আমাদের অর্থনীতিতে সেরা প্রবৃদ্ধিটি উপহার দিতে পারব। আমাদের ইপ্সিত লক্ষ্যমাত্রাটি ছিল ৮ দশমিক ২ থেকে ৮ দশমিক ৩ ভাগ।
“কিন্তু করোনার প্রভাব সারাবিশ্বের অর্থনীতির হিসাব-নিকাশকে সম্পূর্ণভাবে ওলটপালট করে দিয়েছে।”
মহামারীতে রপ্তানি আয় তলানিতে ঠেকায় এবং রেমিটেন্সে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না বাড়ায় চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
একই সঙ্গে ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী উত্তরণের কথা বিবেচনায়’ নিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ ঠিক করেন, যদিও এই মহামারীর শেষ নিয়ে এখনও রয়েছে অনিশ্চিয়তা।
বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ বলেছে, আগামী বছর তা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার মধ্যে উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরার বিষয়ে করোনাভাইরাস সঙ্কট থেকে উত্তরণে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আশার কথা শোনান মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ইকোনমিস্ট গত ২ মে ৬৬টি উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে নবম স্থানে রেখেছে।
“তাদের হিসাবে আমরা অন্যদের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছি।”