ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ‘কিছুটা’ কমেছে

নতুন বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট (২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায়) ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2020, 01:00 PM
Updated : 3 March 2020, 01:00 PM

গেল মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারি মাসের মূল্যস্ফীতি জানুয়ারির তুলনায়ও কিছুটা কমেছে। জানুয়ারি মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৫৭ ভাগ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভাপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “এই মৌসুমে বিয়ে, পিকনিকসহ নানা ধরনের উৎসব থাকায় খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতের পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই আমরা গত মাসে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে বলে আশংকা করেছিলাম।

“কিন্তু সুখের খবর হচ্ছে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। চাহিদার সঙ্গে ঠিকমতো যোগান ছিল বলেই মূল্যস্ফীতি কমেছে।”

বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য উপখাতে সাধারণ মুল্যস্ফীতি আগের বছরের একই মাসের তুলনায় কিছুটা কমে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে। গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

আর গেল মাসে খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেশ কিছুটা বড়ে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ হয়েছে। আগের বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।

বিবিএস প্রতিবেদন অনুযায়ী গেল মাসে দেশের গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি আগের বছরের একই মাসের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ হয়েছে। আগের বছরের একই মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।

গত মাসে দেশের শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি আগের বছরের একই মাসের তুলনায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেশ কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ হয়েছে। আগের বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশে দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিকের মজুরি হার বেড়েছে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। আগের বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ।