ফসলের ভরা মৌসুমে আমদানি নয়: কৃষি সচিব

যে মৌসুমে দেশে যে ফসল উৎপাদন হয়, কৃষকের ক্ষতি এড়াতে ওই সময় সেই ধরনের কৃষিপণ্য যেন আমদানি করা না হয় সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2019, 04:38 PM
Updated : 23 Oct 2019, 04:38 PM

কৃষি মন্ত্রণালয়ে বুধবার দেশের উৎপাদিত শস্য/ ফলমূল/ শাক-সবজি/ মসলার (চাল, গম, ভুট্টা, আম, মৌসুমভিত্তিক শাক-সবজি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা) ‘বাজারজাতকরণ ও আমদানির সামঞ্জস্যতা নির্ধারণ’ বিষয়ক সভা শেষে কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কৃষকরা উৎপাদন করে যখন বাজারে পণ্য নিয়ে আসে, তখন বিদেশ থেকে সে পণ্য আমদানি হলে কৃষকরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় জানিয়ে কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, “একই সঙ্গে সবাই একই পণ্য উৎপাদন করে, ফলে পণ্যের দাম কমে যায়। আবার এই কৃষকই যখন বাজারে ফসলটা কিনতে যায় তখন তাকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

“এজন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে এ রকম একটি অবস্থা তৈরি করতে চাচ্ছি, কৃষকের ঘরে যখন ফসল উৎপাদন হবে, তখন আমাদের আমদানিকারকরা যেন বিদেশ থেকে একই ধরনের ফসল বা পণ্য বাংলাদেশে আমদানি না করেন।”

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হবে জানিয়ে কৃষি সচিব বলেন, “সিজনে কৃষক যে ফসল উৎপাদন করে বাজারে নিয়ে আসে, তখন যেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একই ধরনের পণ্য বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি না দেয়।”

তবে বাজারে ঘাটতি থাকলে বা ঘাটতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় খদ্যপণ্য আমদানির অনুমোদন দিতে পারবে বলে জানান সচিব। 

ঢাকা শহরের জন্য চুক্তিভিক্তিক কৃষক দিয়ে কিছু ‘বিষমুক্ত’ সবজি উৎপাদন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে কৃষিসচিব বলেন, “শাক-সবজবিসহ অন্যান্য ফসল বিদেশ যায়, সেটা যেন নিরাপদ হয়, সেজন্য চুক্তিভিত্তিক ফসলের দিকে যাব। যাতে দেশের মানুষের জন্য ও রপ্তানির পণ্য দুটোই নিরাপদে রাখতে পারি। “

কৃষক যেন কৃষি অফিসারের নির্দেশনা মেনে কীটনাশক ব্যবহার করে, তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে কৃষি সচিব বলেন, “যে পণ্যের জন্য বা যে পোকা মাকড়ের জন্য কীটনাশক দরকার নেই, কিন্তু ডিলারদের পরামর্শে কৃষক অনেক সময় কীটনাশক ব্যবহার করেন, এতে পোকামাকড় মরে না, কিন্তু ফসলে সেই কীটনাশকের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে যায়।”