বড় প্রকল্পের বীমা দেশীয় বীমা কোম্পানিতেই: অর্থমন্ত্রী

বড় বড় প্রকল্পের বিপরীতে যে বীমা করতে হয় এখন থেকে তা দেশীয় বীমা কোম্পানিতে করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 05:06 PM
Updated : 11 Sept 2019, 05:06 PM

বুধবার সরকারের সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ২০১৮ সালের লভ্যাংশ হিসেবে ৫০ কোটি টাকার চেক সরকারি কোষাগারে গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।

কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার আহসান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে এ চেক হস্তান্তর করেন।

শেরে বাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে এই চেক গ্রহণ করা হয়। এসময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন।

চেক গ্রহণের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পে সাধারণ বীমা কভারেজ করেছে।”

“আগে বলা হতো আমাদের দেশের ইনস্যুরেন্সগুলো ছোট, আমাদের শক্তি নাই, যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তারা, প্রিমিয়াম দিতে পারবে না, লস কাভার করতে পারবে না। এই ক্ষেত্রে ইন্সুরেন্স প্রিমিয়ামগুলো বিদেশে চলে যেতো। এটা আর হতে দেয়া হবে না।

“এখন থেকে যে কোনও প্রকল্পের ইন্স্যুরেন্স অভ্যন্তরীন কোম্পানির মাধ্যমে করতে হবে।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ইন্সুরেন্সের প্রিমিয়াম দেশে থাকলে দেশীয় ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর রেভিনিউ বেড়ে যাবে। প্রকল্পের আওতায় বিদেশ থেকে মেশিনারিজ আসতো; আবার বিদেশেই ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম চলে যেতো।

“এখন থেকে এগুলো বিদেশে যাবে না। আমার দেশ থেকে যে ইন্স্যুরেন্স হবে, যেটা আমরা পেমেন্ট করবো সেটার প্রিমিয়ামও আমরা পাবো। আমাদের প্রিমিয়াম বাইরের কেউ পাবে না। আমার দেশ থেকে যে ইন্স্যুরেন্স হবে তার প্রিমিয়াম বিদেশে যাবে না।”

মন্ত্রী বলেন, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ৫০ কোটি টাকার চেক দিয়েছে। তারা ট্যাক্সও পেমেন্ট করেছে।

“আগামীতে মুনাফা ডাবল হবে আশা করি।এতোদিন মুনাফা পাচ্ছিল না; এখন পাচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। সাধারণ বীমার রেভিনিউ বাড়লে সেবাও বাড়বে। গ্রাহকেরাও উপকৃত হবে।”