৫ বছরে ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৫৮%, ঋণ ৭৯%

গত ৫ বছরে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে আমানত ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ বাড়লেও একই সময়ে ঋণ বেড়েছে ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। এই সময়ে কৃষি ঋণ বেড়েছে ৪৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2019, 04:01 PM
Updated : 28 July 2019, 04:01 PM

রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আর্থিক খাতের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা হয়।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটটি রাষ্ট্রায়ত্তসহ ৫৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০১৪ সালে আমনাতের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ১০ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিল নাগাদ তা বেড়ে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বৃদ্ধির হার ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

২০১৪ সালের ব্যাংকগুলোর ঋণের পরিমাণ ছিল যেখানে ৫ লাখ ২৮ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা, তা ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে এ বছরের এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা।

এ সময় কৃষি ঋণ ৪৭ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়ে ১৬ হাজার ৩৬ কোটির স্থলে (জুন ২০১৯ তারিখে) ২৩ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা হয়েছে।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালে জুনে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৩৭ হাজার ৯৪২ মিলিয়ন ডলার। গত বছর একই সময় তা ছিল ৩৩ হাজার ৫১১ মিলিয়ন ডলার।

বৈঠকে আগামী ৫ বছরে বৈদেশিক ঋণের একটি প্রক্ষেপনও জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয় বৈদেশিক ঋণ ২০২০ সালে ৪৪ হাজার ৫৮৯ মিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালে ৫১ হাজার ৬১২ মিলিয়ন ডলার ও ২০২২ সালে ৫৮ হাজার ৯১২ মিলিয়ন ডলার হতে পারে।

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল প্রকল্প, মাতারবাড়ির মতো বড় বড় প্রকল্পের কারণে আগামী বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ বাড়বে বলে কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়।

বৈঠকে আরও জানানো হয়ে, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্ব ব্যাংক ও জাপানসহ উন্নয়ন সহযোগীরা তাদের ঋণের শর্তাবলী আগের চেয়ে কঠিন করেছে। বিদ্যুৎসহ অবকাঠামো খাতে অনমনীয় ঋণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে অনমনীয় ঋণের পরিমাণও বাড়বে।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- ২০১৯ এর জুন পর্যন্ত মোট বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ৯ হাজার ৭৯৫ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার এবং বৈদেশিক সহায়তা ছাড়ের পরিমাণ ৬ হাজার ২১০ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়ন ডলার।

বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে সরকারকে ৬৮৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় সরকারকে ঋণ দিয়েছে ২১ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা।

কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, আব্দুস শহীদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী. আহমেদ ফিরোজ কবির, রুমানা আলী ও রানা মোহাম্মদ সোহেল অংশ নেন।