একইসঙ্গে এ শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মোটর সাইকেল ম্যানুফেচার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টিইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা, বাংলাদেশ মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় মোটর সাইকেল উৎপাদনকারীদের পক্ষে হিরো মোটর সাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এমএমইএবির কোম্পানি সেক্রেটারি বিজয় কুমার মণ্ডল বলেন, “দেশে মোটর সাইকেল উৎপাদন ব্যয় কমাতে অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামালের আমদানি শুল্ক পাঁচ এবং ১৫ শতাংশের পরিবর্তে শুধু পাঁচ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি দেশে উৎপাদিত মোটর সাইকেলের ওপর থেকে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
বাংলাদেশ মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম। গণপরিবহনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হুইল, রিম, বোল্ট, এক্সেলসহ বেশ কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেন।
আর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ আগামী বাজেটে যাত্রীবাহী নৌযানে ব্যবহৃত এসির ওপর থেকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আগামী বাজেটে দেশে মোটর সাইকেল উৎপাদনে আরও উৎসাহিত করা হবে।
তিনি বলেন, “দশ-বারো বছর আগে দেশে মোটর সাইকেল তৈরি শুরু হয়েছে। এখন রানার, হিরো, হোন্ডা এবং বাজাজ দেশে মোটর সাইকেল তৈরি করছে। শিগগির আরও কোম্পানি আসছে।
“এর ফলে আগামীতে আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিও করতে পারবে। তাতে মোটর সাইকেলের বাজার তৈরি হবে।”
দেশে শিগগিরই গাড়ি তৈরির আশাবাদ ব্যাক্ত করে তিনি বলেন, দেশে গাড়ি তৈরির জন্য নীতিমালা করা হবে।