জলবায়ু তহবিলের অর্থ খরচে স্বচ্ছতার তাগিদ

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের অর্থে গঠিত তহবিলের অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছন মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক মোহা. মুসলিম চৌধুরী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2019, 10:15 AM
Updated : 21 March 2019, 10:28 AM

বৃহস্পতিবার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তাগিদ দেন।

ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভ্যালিডেশন ওয়ার্কশপ অন ক্লাইমেট ফিসকল ফ্রেমওয়ার্ক’ শীর্ষক এই কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনডিপি) বাংলাদেশে আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি। অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার এতে সভাপতিত্ব করেন।

মুসলিম চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালে তিনি অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালনকালেই বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো জলবায়ু তহবিলে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

“অর্থ বরাদ্দ দেওয়া সহজ কাজ ছিল না। এরপর ক্রমান্বয়ে এখাতটিকে অগ্রাধিকারের তালিকায় তুলে আনতে পেরেছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় আমরাই প্রথম জলবায়ু তহবিল গঠন করি।”

মুসলিম চৌধুরী

তিনি বলেন, “আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য সাধারণ মানুষের অর্থ দিয়ে আমরা তহবিল গঠন করছি। তাই এই অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”

সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের প্রান্তিক মানুষুগলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই জলবায়ু তহবিলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী অগ্রাধিকার পেতে পারে।

কর্মশালার মূল প্রবন্ধে ‘ইনক্লুসিভ বাজেটিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং ফর ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স (আইবিএফসিআর)’ প্রকল্পের পরিচালক রঞ্জিত কুমার চক্রবর্তী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এই তহবিলে স্থানীয় ও বৈদেশিক সম্পদের জোগান থাকতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উপকূলীয় অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

অর্থ ব্যয়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ওই তহবিলে গৃহীত প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে পর্যালোচনা করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন রঞ্জিত কুমার।