বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬০৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সেতু নির্মাণসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
রোববার এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে চীন সরকারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জু নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
শেরেবাংলা নগরের সিপিটিইউ ভবনের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব বলেন, “চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সময় ২৭টি প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি প্রকল্পের জন্য চূড়ান্ত ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাকি প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত ঋণ চুক্তি যাতে দ্রুত হয় সেজন্য চীনা রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন সচিব।
রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জু বলেন, “বাংলাদেশ চীনের অন্যতম প্রধান বন্ধু দেশের একটি। বাংলাদেশের উন্নয়নে অংশ নিতে পেরে চীন সরকার গর্ববোধ করে। বাংলাদেশে সব ধরনের উন্নয়ন সহায়তায় অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখবেন তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চীনের অনুদানের অর্থে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের সম্মেলন কেন্দ্র (বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র) ছাড়াও আটটি সেতু (বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী) নির্মি হয়েছে।
এছাড়াও কৃষি যন্ত্রপাতি, হাইব্রিড রাইস টেকনোলজি সহায়তা, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, ড্রেজার এবং কাস্টমসের জন্য স্ক্যানার সরবরাহ করে থাকে তারা।
বাংলাদেশে চীনা অনুদানে চলমান উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হচ্ছে- পূর্বাচলে একটি বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং ফায়ার সার্ভিসের জন্য মোটরসাইকেল সরবরাহ।