ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ ছিল।
গতবছর নভেম্বরে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তৈরি সর্বশেষ প্রতিবেদনে তথ্য বুধবার সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল থাকায় দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে না।”
এছাড়া গতবছর খাদ্যশষ্যের বাম্পার ফলনও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার টার্গেট রয়েছে সরকারের। মূল্যস্ফীতির নিম্মগামী হওয়ার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি টার্গেটের চেয়েও কম হতে পারে।”
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডিসেম্বর মাসে দেশে খাদ্যখাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, তার আগের মাস নভেম্বরে এ হার ছিল ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, আগের মাসে যা ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল।
ডিসেম্বর মাসে গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি নভেম্বরের মতই ৪ দশমিক ৯১ শতাংশে ছিল।আর শহর এলাকায় নভেম্বরের ৬ দশমিক ২১ শতাংশ থেকে কমে ডিসেম্বরে হয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।