ইডিএফ থেকে আড়াই কোটি ডলার ঋণ পাবেন পোশাক রপ্তানিকারকরা

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণের সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2018, 01:25 PM
Updated : 21 May 2018, 01:37 PM

এখন থেকে পোশাক রপ্তানিকারকরা এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ আড়াই কোটি (২৫ মিলিয়ন) ডলার ঋণ নিতে পারবেন। বস্ত্র শিল্প মালিকরাও একই সুবিধা পাবেন।

এত দিন এই সীমা ছিল দুই কোটি ডলার।

তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ এবং বস্ত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর অনুরোধে এ সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে সোমবার এক সার্কুলারে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, রপ্তানি আয় বাড়াতে বিজিএমইএ এবং বিটিএমএর সদস্যরা এখন থেকে ইডিএফ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাবেন।

এই সীমা বাড়ানোর ফলে পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ফারুক হাসান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ইডিএফ ফান্ড থেকে ঋণ নিলে সুদের হার ব্যাংকের চেয়ে কম পড়ে। সে কারণে আমাদের অনেক রপ্তানিকারক এই ফান্ড থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন।”

ঋণের সীমা বাড়ানোয় বড় রপ্তানিকারকদের সুবিধা হবে বলে জানান তিনি।

রপ্তানি খাতে সহায়তা দিতে ১৯৮৯ সালে মাত্র তিন কোটি ডলার দিয়ে ইডিএফের যাত্রা শুরু হয়। দফায় দফায় বাড়িয়ে এই তহবিলের পরিমাণ এখন ৩০০ কোটি (তিন বিলিয়ন) ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে লাইবরের (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট) সঙ্গে আরো ২ দশমিক ৫০ শতাংশ যোগ করে ইডিএফের সুদের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে।

বিজিএমইএ, বিটিএমইএ সদস্যরা ছাড়াও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধসহ বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকরা এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ তিন হাজার ৪০ কোটি (৩০.৪০ বিলিয়ন) লাখ ডলার আয় করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

এই রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশের বেশি এসেছে তৈরি পোশাক থেকে।