প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ প্রকল্পের নকশা, নির্মাণ এবং পরিচালনার কাজ করবে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফ্রান্সের উন্নয়ন সংস্থা এএফডি এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান এবং গন্ধর্বপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট এসএনসির পক্ষে পিয়ের ইভ পলিকান একটি চুক্তিতে সই করেন।
বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার দৈনিক ২৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করতে পারে। এর মধ্যে ১৭০ কোটি লিটার পানি তোলা হয় ওয়াসার গভীর নলকূপ থেকে। বাকি প্রায় ৬০ কোটি লিটার সরবরাহ করা হয় বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার পানি ওয়াসার পাঁচটি শোধনাগারে শোধন করে।
ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানায়, গন্ধর্বপুরের শোধনাগারের পানি আনা হবে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা বিশনন্দী এলাকার মেঘনা নদী থেকে। সেখানে শোধন করে প্রতিদিন ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে রাজধানীতে, যার সুবিধা পাবে প্রায় ৪৩ লাখ মানুষ।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা ওয়াসার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ চুক্তি করা হয়েছে।
“এই চুক্তির মধ্যে দিয়ে কার্যত এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেল। আমাদের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এটা ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হবে।”
ভিওলিয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বন্যা ও ভূমিকম্পের বিষয়টি মাথায় রেখেই তারা গন্ধর্বপুর শোধনাগারের নকশা তৈরি করেছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পরের তিন বছর তারা এ শোধনাগার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে কেরানীগঞ্জের জশলদিয়া এবং রূপগঞ্জের গন্ধর্বপুরে দুটি এবং সায়েদাবাদে একটি পানি শোধনাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।
এর মধ্যে জশলদিয়া পানি শোধনাগারের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। ওই প্রকল্পের নির্মাণকাজ বর্তমানে শেষের দিকে বলে জানান ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক।