‘বাংলাদেশ রাইজিং কনফারেন্স ২০১৮’ শীর্ষক এ সম্মেলনে তাদের আলোচনা, বিতর্ক আর অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের যে চিত্রটি উঠে এল, তা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ডুবন্ত বাংলাদেশের নয়, প্রবৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে চলা উদীয়মান এক রাষ্ট্রের।
বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় এই একাডেমিক সম্মেলনের আয়োজন করে ফ্লোরিডার ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (আইএসডিআই), হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং হার্ভার্ড লক্ষ্মী মিত্তাল সাউথ এশিয়া ইন্সস্টিটিউট।
হার্ভার্ডসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদার ও সংস্থার প্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে অংশ নেন।
উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোন কোন ক্ষেত্রে আরও সংস্কার আনতে পারে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নয়ন সহযোগীরা কীভাবে বাংলাদেশকে কার্যকর সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়গুলোও আসে আলোচনায়।
উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন টাফটস ফ্লেচার স্কুলের ইন্সটিটিউট ফর বিজনেস ইন দ্য গ্লোবাল কনটেক্সটের উদীয়মান বাজার উদ্যোগ বিষয়ক ফেলো নিকোলাস সুলিভান।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে তিনি যে বাংলাদেশকে দেখেছেন, এখনকার বাংলাদেশ তার চেয়ে অনেকটাই আলাদা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি, রেমিটেন্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দারুণ উন্নতি দেখিয়েছে।
তবে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করায় বাংলাদেশকে যে এখন সাহায্য নির্ভরতার বদলে বাণিজ্য নির্ভরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে, সে কথাও তিনি মনে করিয়ে দেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের গবেষণা পরিচালক ফ্রাঙ্ক নেফকে।
তিনি বাংলাদেশের রপ্তানি, উৎপাদন সক্ষমতা, বিশেষ করে গার্মেন্ট খাতের বিকাশের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হারকে ভিয়েতনাম ও চীনের সঙ্গে তুলনা করেন।
উদ্বোধনী অধিবেশনের পর শুরু হয় প্যানেল আলোচনা। ছয়টি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন নীতিনির্ধারকসহ বিভিন্ন খাতের শীর্ষস্থানীয়রা। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিশ্রুতি ও সংস্কার, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর সম্ভাবনা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গতিশীলতা আনা, বাণিজ্যে নারীর নেতৃত্ব এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
“সরকারের অংশ হিসেবে পক্ষপাত না করেই আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে সফলতার দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।”
এ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের বেশি এবং গত তিন বছর ধরে ৭ শতাংশের বেশি থাকার পেছনে বেসরকারি খাতের ভূমিকাই ছিল মুখ্য।
আর যে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে তাদের শ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তাদের ভূমিকাও কম নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, একটা সময় ছিল যখন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অদক্ষতার কারণে ২ শতাংশ সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি হাতছাড়া হয়ে যেত। তবে একটা সময় রাজনীতিবিদরা উপলব্ধি করেন যে ব্যবসা করা সরকারের কাজ নয়। এরপর বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বদল হয়, যদিও ওই হাতবদল প্রক্রিয়া সবক্ষেত্রে স্বচ্ছ হয়নি।
“…তবে আমরা এখন অন্তত এটা বলতে পারি যে আমলাদের বদলে ব্যবসায়ীদের হাতেই ব্যবসাটা ভালো চলে।”
ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের ফাইনানশিয়াল ইনস্টিটিউশনস গ্রুপের মিরা নারায়নস্বামীর সঞ্চালনায় এ অধিবেশনে আরও অংশ নেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমতির সাধারণ সম্পাদক জামালুদ্দিন আহমেদ এবং তানজিব আলম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান তানজিব-উল-আলম।
এদেশের অর্থনীতির মূলশক্তি ও সম্ভাবনা এবং কী ধরনের নীতি ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করবে- সে বিষয়গুলো উঠে আসে এ অধিবেশনে।
সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ক পর্বে মূল বক্তব্য দেন বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য সমন্বয়ক ও সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।
বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে কেন বাংলাদেশ আকর্ষণীয় স্থান সে বিষয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয় এ সময়।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের ক্রমশ এগিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক সাফল্য দেখিয়ে বাংলাদেশ সম্প্রতি স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
কেন সবাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে- সে প্রসঙ্গে আজাদ বলেন, বাংলাদেশের পানি ও বিদ্যুৎ খরচ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। এখানে রয়েছে বিশাল শ্রম বাজার। রয়েছে প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ, উর্বর ভূমি এবং ৪০ হাজার হেক্টরের ল্যান্ড ব্যাংক।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিনিয়োগ বান্ধব। দেশে বিনিয়োগের জন্য রয়েছে রাজনৈতিক অনুকূল পরিবেশ ও প্রতিশ্রুতি। বিনিয়োগকারীদের প্রদান করা হচ্ছে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সুবিধা। সরকার ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে প্রতিবছরই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ২১০০ সালে ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
“রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার স্বপ্ন অভিযাত্রার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই বিনিয়োগের জন্য অবধারিতভাবে বাংলাদেশই হচ্ছে সর্বোত্তম স্থান।”
বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত ওই লক্ষ্য পূরণে প্রতিবছর বাংলাদেশের ৬৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন।
ব্রুমার্স অ্যান্ড পার্টনার্সর বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী খালিদ কাদির এবং অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফ জহিরও এ পর্বের আলোচনায় অংশ নেন।
বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনেয়াগের সফল ও অসফল জায়গাগুলো, বিদেশি বিনিয়োগ অথবা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা এবং ভোক্তা পণ্য উৎপাদন খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনার বিষয়গুলো উঠে আসে তাদের আলোচনায়।
সেমিনারে অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে পার্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি মোস্তফা কামাল, আব্দুল মোনেম ইকনোমিক জোনের সিইও এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম এবং দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম কোম্পানি এসকে গ্যাসের সিনিয়র ম্যানেজার ইয়ো জিন কিম।
ইয়ো জিন কিম জানান, তার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। আর এসকে গ্যাস বাংলাদেশে এলে আরও অনেক কোম্পানিই আগ্রহী হবে।
মোমেন বলেন, “দুই নৌকায় পা রাখলে চলবে না। স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাকায় যান, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং সহায়তার জন্যে প্রস্তুত রয়েছেন। আমরা তেমন সহযোগিতা পাচ্ছি প্রতি নিয়ত।”
‘বিদ্যুৎ উৎপাদন গতিশীলতা আনা’ শীর্ষ অধিবেশনের মূল বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বিদ্যুৎ উৎপাদনে উচ্চ প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বলেন, শুধু গন্তব্যে পৌঁছানোই সফলতা নয়, সফলতা হল উন্নয়নের ধারাবাহিক গমনপথ।
“আমরা প্রকল্প ভিত্তিক উন্নয়নে বিশ্বাসী নই আমরা জনগণভিত্তিক উন্নয়নে বিশ্বাসী।’
বাংলাদেশের উন্নয়ন আকাঙ্খার সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনাকে একীভূত করার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “উন্নত দেশগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মানুষের গড় আয়ু, শিক্ষা, জাতীয় আয় অর্থাৎ মানব উন্নয়ন সূচক নির্ধারিত হয় বিদ্যুতের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে। যে দেশ মানব উন্নয়ন সূচকে যত বেশি সে দেশের মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারও তত বেশি।”
বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদ্যুতের ব্যবহারও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তাতে ৬০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন আর এজন্য এ খাতে ৮২.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানান নসরুল হামিদ।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব এবং বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করছে জানিয়ে তিনি উন্নত দেশগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তার বক্তব্যের পর ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন গতিশীলতা আনা’ শীর্ষ অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট খাতের বেসরকারি উদ্যোক্তারা আলোচনায় অংশ নেন।
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, জেনারেল ইলেকট্রিকের জিই সাউথ এশিয়া গ্যাস পাওয়ার সিস্টেমসের সিইও দীপেশ নন্দ, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর এবং এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেনচার্স লিমিটেডের সিইও রেজওয়ানুল কবির ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে উচ্চ প্রবৃদ্ধি’ পর্বে আলোচনায় অংশ নেন।
আজিজ খান বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ বিরাজ করছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং জাপানও বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, “বিনিয়োগে সরকারের আন্তরিকতাপূর্ণ সহায়তা রয়েছে। তাই যারাই সত্যিকার অর্থে উদ্যোগ নিচ্ছেন তারাই সফলতা অর্জনে সক্ষম হচ্ছেন।”
ব্যবসায়ে নারী নেতৃত্ব বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় মাইক্রসফট বাংলাদেশের এমডি সোনিয়া বশির কবীর, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি ডিভিশন আনিকা চৌধুরী এবং গ্রীন ডেল্টা ইনসুরেন্সের এমডি ফারজানা চৌধুরী।
সব বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশের নারীরা যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই গল্প উঠে আসে তাদের কথায়।
আনিকা চৌধুরী তার বক্তব্যে নারী নেতৃত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদে সাফল্য অর্জনের বিষয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি যেসব সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয় আগামীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে, তার ওপরেও আলোকপাত করেন তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবাকে কীভাবে আরও গণমুখী করা যায়- সে বিষয়ে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশ হবে তথ্য-প্রযুক্তিখাতে ‘বিশ্বের বিস্ময়’।
অ্যালায়েন্স ফর আফোর্ডেবল ইন্টারনেট এর নির্বাহী পরিচালক সোনিয়া এন জর্জ, ব্রাউন ইউনিভার্সিটি ওয়ারেন আলপার্ট মেডিকেল স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আবিদ এবং অ্যাপনোমেট্রির এমডি মাসরুফ হাবিব এ পর্বের আলোচনায় অংশ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিরা কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে, সে বিষয়েও একটি আলোচনা পর্ব ছিল সম্মেলনে।
লোব হাউজের যে কক্ষে এই সম্মেলন হয়েছে সেখানে স্থান সঙ্কুলানে আয়োজকদের হিমশিম খেতে হয়। এ প্রসঙ্গে কনফারেন্স চেয়ার ইকবাল কাদির বলেন, ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষ আরও বড় কোনো কক্ষ দিলে সার্বিক আয়োজনে সুবিধা হবে।
এ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল সামিট পাওয়ার, জেনারেল ইলেকট্রনিক্স, ম্যাক্স গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আব্দুল মোনেম ইকনোমিক জোন, মেঘনা গ্রুপ, এনার্জিপ্যাক বাংলাদেশ ও হাবিব গ্রুপ।