তিনি বলেছেন, “৭ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আমরা করেছি। এটা নিয়ে আমরা সুখী হতে পারি, কিন্তু আত্মতুষ্ট হওয়ার কিছু নেই।
“যে দেশে মোট জনগোষ্ঠীর বয়স ৫০ শতাংশ ২৫ বছরের মধ্যে, যে দেশে মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও কম, সেখানে আমরা কীভাবে বলি, সক্ষমতা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি করেছি।”
শনিবার ঢাকার বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ডুয়িং বিজনেস’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে একথা বলেন আমিনুল।
অর্থনৈতিক অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “ট্রেড লজিস্টিকে আমরা প্রতিবছর ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা হারাচ্ছি, এখন গড়ে ১০ দিন পণ্যবাহী জাহাজকে বহির্নোঙ্গরে থাকতে হয়, যা নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব না।”
উন্নয়নের জন্য দেশের আইন, প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামোসহ সামগ্রিক ব্যবস্থায় সংস্কার আনার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “আমার তত্ত্ব হচ্ছে বর্তমান অর্থনৈতিক অবকাঠামো দিয়ে আমরা আগাতে পারব না। পরের ধাপে যাওয়ার জন্য বৃহৎভাবে সংস্কার প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের মাথা পিছু আয় এক হাজার ৬০০ ডলারের কাছাকাছি, আমাদের দেশের মোট আয় ২৫৬ বিলিয়ন ডলারের মতো।
“২০৪১ সালে উন্নত দেশ হতে হলে ২৪ বছরের মধ্যে দেশের মোট আয় তিন ট্রিলিয়নে উন্নীত করতে হবে, অর্থাৎ ২৪ বছরের মধ্যে আজকের বাংলাদেশকে ১০ থেকে ১২ গুণ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি ফারুক সোবহান, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নিহাদ কবিরসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।