বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারাগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার ‘বিএনজি গ্লোবাল হোল্ডিং এসডিএন বিএইচডি অ্যান্ড কনসোর্টিয়ামের’ সঙ্গে এই চুক্তি হয়।
রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুর রহমান এবং বিএনজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারিফাহ সাবরিনা চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্ক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবদুল লতিফ হিলালি জানান, কেরানীগঞ্জে ১৬০ একর এলাকাজুড়ে হবে এই আবাসিক পার্ক। মোট ৮৫টি ভবনের ৬০টি হবে ২০ তলা, আর ২৫টির উচ্চতা হবে ২৫ তলা।
এখানে স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, জিমনেসিয়াম, মসজিদ, শপিং মার্কেটের সঙ্গে থাকবে খেলার মাঠ, পার্ক ও লেকের মতো বিনোদনের জায়গা।
ভবনগুলো নির্মাণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
অ্যাপার্টমেন্টগুলো ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে জানিয়ে অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, “অ্যাফর্ডেবল প্রাইসের মধ্যে পাওয়া যাবে। আমরা প্রাইস করে দিয়েছি। প্রতি বর্গফুটের দাম হবে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। সেটাও একসঙ্গে দিতে হবে না, ভেঙ্গে ভেঙ্গে দেওয়া যাবে।”
দেশের সব মানুষের জন্য আবাসনের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এখনকার অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলোতে সব ধরনের আধুনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি নিজস্ব পয়ঃনিষ্কাশন, স্যুয়ারেজ, পানি সংরক্ষণসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকবে। ভবনগুলো পরিবেশ সহায়কও হবে।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন প্রকল্পে ঢাকায় স্থানীয়দের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট নেওয়ার সুযোগ নাই। সে ব্যবস্থা করে দিলে পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ উপকৃত হতে পারবে। আমরা পুরান ঢাকায় আরো সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারব।”
ঝিলমিলের রেসিডেন্সিয়াল পার্ক প্রকল্পকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং সিস্টেম ব্যবহার করে নির্মাণ হতে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প বলে অনুষ্ঠানে জানান বিএনজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা।
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার ইদহাম জুহরি বিন মোহাম্মদ ইউনুস, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আফসর এইচ উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।