ওই জমিতে পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, পেট্রোলিয়াম পণ্য মজুদাগার, এলপিজি টার্মিনাল ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে এসপিপিএল।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রোববার এবিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে সই করেন বেজার নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশিদ ও এসপিপিলএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার।
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জ্বালানি উৎপাদন করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে সরবরাহ করছে এসপিপিএল; দেশের অক্টেন চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ যোগান দিচ্ছে এই কোম্পানি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধূরী বলেন, এলএনজি টার্মিনাল, বড় ধরণের স্টিল মিল বা এ ধরনের ব্যবসা যেগুলোর জাহাজ চলাচলে সমুদ্রের বেশি গভীরতার প্রয়োজন হয়। এসব ব্যবসার জন্য মহেশখালী আদর্শ জায়গা হতে পারে।
“এই গুরুত্বটা বিবেচনা করেই আমরা এই জায়গাটা চিহ্নিত করেছি। দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্য়ন্ত যে রেললাইন যাচ্ছে গুরুত্বের বিচারে ওই এলাকায়ও রেলের একটি লাইন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
মহেশখালীতে আট হাজার একরের মতো জায়গা ইপিজেডের জন্য রাখা হবে, সেখান থেকে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বড় ধরণের অবদান রাখার ক্ষমতাসম্পন্ন খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, “ইতিমধ্যে চায়নার কুনমিং আয়রন স্টিল কোম্পানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার জন্য আমাদের কাছে জায়গা চেয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে মিরসরাইয়ের নাম বললেও সমুদ্রের গভীরতার সুবিধার্থে আমরা তাদের মহেশখালীর ধলঘাটায় নিয়ে আসতে চাই।
“ইতিমধ্যেই তাদের সাথে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। আশা করছি, শিগগির সমঝোতা চুক্তি স্বক্ষরিত হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্য়ালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “সরকার ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে জমি বরাদ্দ দিচ্ছে। কোথায় কোন ধরনের ব্যবসার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে তা সরকার ঠিক করে দেবে। দেশি বিদেশি ব্যবসায়ী যাদের প্রয়োজন তাড়াতাড়ি বরাদ্দ নেন।”
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।