মোরায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ইইউয়ের ১৫ লাখ ইউরো

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক ত্রাণ সহায়তায় ১৫ লাখ ইউরো দিতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-ইইউ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2017, 01:34 PM
Updated : 6 July 2017, 01:34 PM

ইইউয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সহায়তার এই অর্থ ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকাগুলোয় ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষের জন্য ব্যয় হবে।

এতে হিউমেনিটারিয়ান এইড অ্যান্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ইইউ কমিশনার ক্রিস স্টাইলিয়ানাইডস বলেন, ‍“ঘূর্ণিঝড় মোরা দুর্গত অবস্থার মধ্যে ফেলে গেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে হাজার হাজার মানুষকে, যাদের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন। পরিবারগুলো তাদের বাড়িঘর, সহায়-সম্বল এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের আয়ের সুযোগ হারিয়েছে।”

“তাদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই কঠিন সময়ে ভালোভাবে বাঁচার ব্যবস্থা করার প্রয়োজনে ইইউয়ের এই অর্থে তাদের জরুরি সহায়তা দেওয়া হবে।”

সহায়তার এই ১৫ লাখ ইউরোর মধ্যে ১০ লাখ ইউরো জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য ব্যয় করা হবে বাংলাদেশে, যেখানে মোরা প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

বাকি ৫ লাখ ইউরো মিয়ানমারে বিশেষত দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে মোরায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খরচ করা হবে।

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে গত ৩০ মে সকালে উপকূলে আঘাত করে।

বাংলাদেশে ঝড়ে প্রায় ৫২ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যাতে প্রায় দুই লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয় বলে তথ্য সরকারের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কক্সবাজার জেলা।

আর মিয়ানমারের উপদ্রুত এলাকায় ২১ হাজার ঘরবাড়ি ও আশ্রয়কেন্ত্রসহ ৫০ হাজার স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ২৬ হাজার মানুষের স্যানিটেশন সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে সাম্প্রতিক এক জরিপে পাওয়া যায়।

সহায়তার জন্য ঘোষিত অর্থ ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ইইউয়ের হিউমেনিটারিয়ান অংশীদারদের মাধ্যমে।

ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরিভিত্তিতে আশ্রয় ও খাদ্য যোগানোর পাশাপাশি সুপেয় পানি, স্বাস্থ্য সেবা, স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার মতো জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে।