সচিবালয়ে বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আই শ্যাল নট স্পিক অ্যাবাউট ইট নাও। ... আই অ্যাম হ্যাভিং ভেরিয়াস মিটিংস সেগুলোর পরে দেখব কোথায় কী করতে হবে।
“বিকজ ২০ হাজার কোটি টাকা ওয়াজ দি অ্যাডিশনাল ইনকাম আন্ডার দি নিউ ভ্যাট ল’। এই ২০ হাজার কোটি টাকা হবে না, কম হবে। হাউ টু মিট ইজ এ ভেরি ক্রিটিক্যাল প্রবলেম, সুতরাং এখনই বলতে পারব না।”
নতুন আইন কার্যকর করে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় ধরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট সংসদে প্রস্তাব করেছিলেন মুহিত।
বিশাল বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর থেকে ৯১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা আসবে বলে ধরেছিলেন মুহিত।
কিন্তু ব্যাপক সমালোচনার মুখে ভ্যাট আইন কার্যকর দুই বছর পিছিয়ে দিতে বলেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। ফলে মুহিতের বাজেট বাস্তবায়ন বড় ধরনের ধাক্কার মধ্যে পড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে রাজস্ব ঘাটতি পূরণে সরকারের সামনে করজাল সম্প্রসারণের বিকল্প থাকবে না। আর সেই চাপ সামাল দিতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে।
ভ্যাট আইন স্থগিত হওয়ায় নতুন করে সংসদে পরিকল্পনা নিতে হবে কি না- এ প্রশ্নে মুহিত বলেন, এর প্রয়োজন নাও নেওয়া হতে পারে।
বৃহস্পতিবার এসব নিয়ে একটি বৈঠকের খবর জানিয়ে তিনি বলেন, “কারণ বাজেটে আমি যে ফাইনাল স্টেইটমেন্ট দিয়েছিলাম সেখানে মাই ফাস্ট সেনটেন্স ইজ রাইট, সেকেন্ড সেনটেন্সে একটা ভুল হয়েছে। এটা ল মিনিস্ট্রি উয়িল লুকিং ইট, কালকে অ্যাডভাইজ করবে তখন বুঝব, নেওয়া দরকার কি না।
“(সংসদে) নেওয়া না নেওয়ার দরকার থাকলেও আই শ্যাল মেক এ… সেশনটা কনক্লুড হওয়ার আগে কিছু বলব, সেখানে জানিয়ে দেব।”
বর্তমানে ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন কার্যকর নয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “২০১২ সালের আইনই সংশোধন করে করে চলছে। প্রতি বছরই সংশোধন করি।”
ভ্যাট আইন কার্যকর স্থগিত করলেও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প শুরু হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।