জাপানের পৃষ্ঠপোষকতায় মহাপরিকল্পনাটি তৈরি করে আইইইজে, সহযোগিতা করে জাইকা।
Published : 13 Dec 2024, 12:22 AM
পরিবর্তিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা সংশোধন করা ‘উচিত’ বলে মনে করেন ঢাকায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে ‘বাংলাদেশ জ্বালানি সমৃদ্ধি-২০৫০’ শীর্ষক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের এই মুহূর্তে হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়া প্রযুক্তিগুলো প্রয়োগ করা উচিত নয়।
“তবে যখন নতুন এই প্রযুক্তিগুলো কার্যকর বলে প্রমাণিত হবে এবং সার্বিকভাবে প্রযুক্তিগুলোর আরও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে, তখন প্রয়োজন মত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা সংশোধন করা যাবে।”
জাপানের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় এ বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছিল ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনমিকস, জাপান (আইইইজে), তাদের সহযোগিতা করেছিল জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
আয়োজক পক্ষের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকায় জাইকার প্রধান ইচিগুচিও বলেন, “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা একটি জীবন্ত দলিল। তাই পরিবর্তিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে এই মহাপরিকল্পনাও সংশোধন হওয়া উচিত।”
সম্মেলনে একাধিক আলোচক এ মহাপরিকল্পনার সমালোচনা করেন। জাপান সেন্টার ফর সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটির (জেএসিএসইএস) প্রকল্প পরিচালক ইউকি তানাবে বলেন, “এটি বানানোই হয়েছে জাপানি কোম্পানিগুলোর সর্বোচ্চ লাভ নিশ্চিত করতে। নিজেদের উদ্বৃত্ত এলএনজি এশীয় দেশগুলোর কাছে পুনরায় বিক্রির লক্ষ্যেই জাপান বাংলাদেশে এ ধরনের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।”
জাপানের এই পরিবেশবিদ বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি বিবেচনায় এই মহাপরিকল্পন মোটেও কার্যকর হবে না, কেননা এতে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ অ্যামোনিয়া এবং হাইড্রোজেন কো-ফায়ারিং ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা নবায়নযোগ্য শক্তির চেয়ে ৪ গুণ ব্যয়বহুল।“