ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিটে সৌদি বিনিয়োগ চায় ঢাকা

রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিতেও আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2023, 05:00 PM
Updated : 1 Feb 2023, 05:00 PM

দীর্ঘদিন সময় ধরে পরিকল্পনায় থাকা ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণে সৌদি আরবকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ আবদুললাহিয়ান সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান তিনি।

পরে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সৌদি উন্নয়ন তহবিল (এসএফডি) থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিটে প্রত্যাশিত বিনিয়োগের সম্ভাবনা পর্যালোচনা করতে সৌদি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে দেশটির কাছে এ আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অপরিশোধিত তেল পরিশোধনে ২০১২ সালে দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় এ ইউনিট নির্মাণের প্রকল্প নেয় সরকার।

প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মধ্যেই ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ফরাসি প্রকৌশল কোম্পানি টেকনিপের সঙ্গে ইআরএল ইউনিট ২ এর ফ্রন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন (ফিড) চুক্তি সই করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণে দফায় দফায় প্রকল্পের প্রস্তাবিত খরচ বেড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়ানোর পর গত বছরের মে মাসে এ কাজে আর আগ্রহী না হওয়ার কথা জানায় টেকনিপ।

এরপর ২০২২ সালের জুনে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ নিয়ে কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (কেপিসি) সঙ্গেও আলোচনা করে বিপিসি। কিন্তু ওই কুয়েতি কোম্পানি থেকে এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।

ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিটের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (ডিপিপি) সবশেষ সংশোধন প্রস্তাব জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

১৯৬৮ সালে চালু হওয়া ইস্টার্ন রিফাইনারির বার্ষিক পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টনের। অপরদিকে বর্তমানে দেশের পেট্রোলিয়াম পণ্যের বার্ষিক চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ টন। বার্ষিক ৩০ লাখ টন শোধন ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণে এ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।

এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিতেও বুধবার রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

এ বিষয়ে তাদের আলোচনায় সম্ভাব্য সহযোগিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিলম্বে লেনদেনের মাধ্যমে (সৌদি কোম্পানি) আরামকো থেকে অপরিশোধিত বা পরিশোধিত তেল পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনার কথাও তিনি (মোমেন) বলেছেন।”

এতে বলা হয, সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এসব প্রস্তাব জানানোর নিশ্চয়তা বৈঠকে দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত আবদুললাহিয়ান।

একইসঙ্গে সৌদি আরবে একটি সার কারখানা নির্মাণের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।