ডলার সংকটে রিজার্ভ যখন ক্রমেই কমছে, সে সময় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের পর আরও ‘সুখবর’ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, ঋণ সহযোগিতা পেতে সমঝোতা চৃক্তির আওতায় পাইপ লাইনে থাকা মোট এক দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার চলতি মাসেই পাওয়া যাবে যাচ্ছে। এতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আকু (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) দায় পরিশোধ করার পরেও রিজার্ভ বেড়ে যাবে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক। তিনি জানান, এর মধ্যে আইএমএফ এর ঋণও অন্তর্ভুক্ত আছে।
তিনি জানান, এডিবির ৪০ কোটি ডলার আগামী সপ্তাহে পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজেট সহায়তা হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়াও দেবে ৯ কোটি ডলার। অন্যান্য উৎস থেকে আসবে আরও আরও ১৩ কোটি ডলার।
মঙ্গলবার আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক পর্ষদের সভায় বাংলাদেশের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৪৬ দশমিক ৮৩ কোটি ডলার ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আরো ২২ কোটি ১৫ লাখ ডলারের ঋণ অনুমোদন হওয়ায় মোট ৯৩ কোটি ৬৬ লাখ ডলার পেতে যাচ্ছে আইএমএফ।
এই ঋণ অনুমোদনের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এক প্রশ্নে মেজবাউল বলেন, নতুন আসা অর্থ ও দায় পরিশোধের পর প্রকৃত রিজার্ভ কত হয় তা জানতে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পরযন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
গত ৭ ডিসেম্বর শেষে বিপিএম সিক্স পদ্ধতির গ্রস হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে তা ২৪ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার।
এই রিজার্ভই মঙ্গলবার পর্যন্ত আছে জানিয়েছেন মেজবাউল হক।
ঋণ ছাড়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “অর্থনীতিতে যেসব উদ্যোগ চলমান আছে তা অব্যাহত থাকবে। আগামী মৃদ্রানীতি আঁটোসাটো করা হবে।
ক্ষয় হতে থাকা রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার সহায়তা নিতে আইএ্মএফ এর কাছেও ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ পেতে আবেদন করেছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে।
ওই বছরের নভেম্বরে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি অনুমোদন দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ।
দুটি ছাড়া সব শর্তে অগ্রগতি হওয়ায় গত অক্টোবর মাসেই দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিল বাংলাদেশে আসা আর্টিকেল -৪ মিশন।
আরও পড়ুন: