বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামে তুলবে ২৫ কেজি সোনা

এক যুগ পর সোনা বিক্রিতে নিলাম ডাকল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2022, 04:24 PM
Updated : 8 Nov 2022, 04:24 PM

নিজেদের কাছে গচ্ছিত সোনা বিক্রি করতে এক যুগ পর নিলাম ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই নিলামে ২৫ কেজির মতো সোনা তোলা হবে। বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংস্থার অভিযানে আটক সোনা থেকে এই পরিমাণ সোনা বিক্রি করা হবে।

সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এবার একইভাবে সোনা বিক্রি করতে গত ৩ নভেম্বর দেশের চারটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, যাতে ২৫ দশমিক ৩১ কেজি সোনা বিক্রি হবে বলে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সময়ে সোনা বিক্রির উদ্যোগ নিল, যখন ডলারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্ব ও অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দামি এই ধাতুটির দাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুমোদিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী দরপত্র কিনতে পারবেন আগামী ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। তারপর আগ্রহীদের মধ্যে থেকে একটি তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সোনা কতটুকু খাঁটি, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা করবে এক দিনের জন্য। নির্ধারিত সেই দিনে আগ্রহীরা পরীক্ষক নিয়ে যাচাই করতে পারবেন

প্রদর্শনীতে যাচাই-বাছাই শেষে দর প্রস্তাব করবেন কিনতে আগ্রহীরা। প্রস্তাবিত দর যাচাই করে দেখবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত মূল্যায়ন কমিটি। তার মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা স্বর্ণ কিনতে পারবেন।

বর্তমানে দেশের বাজারে ১৮ ক্যারেট সোনার প্রতি গ্রামের দাম ৬৫ হাজার টাকা। সেই দর ধরলে ২৫ কেজি সোনার দাম হয় ১৬৩ কোটি টাকা। ২২ কিংবা ২১ ক্যারেটের সোনার দর এর চেয়ে বেশি।

এই সোনা আসে যেভাবে

অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন বন্দরে আনার সময়ে এবং আইন-শৃঙ্কলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে জব্দ ও আটক স্বর্ণ যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাণ্ডারে। এছাড়া পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া সোনাও সেখানে জমা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, তা আদালতের মাধ্যমে জব্দ করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও শুল্ক অধিদপ্তরসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আদালতের নির্দেশে তা সংরক্ষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই সোনা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে বিশেষ ভল্ট রয়েছে। যেসব সংস্থার মাধ্যমে সোনা আটক বা জব্দ হয়, তাদের উপস্থিতিতে সেই সোনা ভল্টে রাখা হয়।

জব্দ তালিকার একটি স্বাক্ষরিত অনুলিপি ওই সংস্থার কাছেও সংরক্ষণ করা হয়।

রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর ও অদাবিকৃত স্বর্ণ নিলামে বিক্রির জন্য আদালতের অনুমতির পর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয় সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থা।

এসব প্রক্রিয়া শেষ করার পর নিলাম দরপত্র ডাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোনা বিক্রির পর প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়।