নতুন পরিসংখ্যান আইন হলে পরিস্থিতি বদলানোর আশা তার।
Published : 08 Jan 2025, 09:36 PM
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্য নিয়ে নিজের সন্দেহ থাকার কথা বললেও তা ‘চোখ বন্ধ করে’ প্রকাশ করে দিতে হয় বলে তুলে ধরেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এর ব্যাখ্যায় তিনি আগের নিয়ম এখনও চলমান থাকার কথা বলেন; যে কারণে এসব তথ্য তার কাছে উপস্থাপন করা হলে সেগুলো পর্যালোচনা করেন না।
বিবিএস প্রকাশিত সবশেষ জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত যেহেতু আগের নিয়ম বলবৎ আছে কাজেই চোখ বন্ধ করে প্রকাশ করে দিতে হয় আমাকে। কিন্তু আমি ওটা দেখিও না।”
বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) পরবর্তী ব্রিফিংয়ে কথা বলছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে-পরে সহিংসতা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বড় প্রভাব পড়েছে মোট দেশজ উৎপাদনে। হালনাগাদ তথ্যে বিবিএস বলেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ।
জুলাইয়ের অস্থিরতার সময়েও প্রবৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে উপদেষ্টা বলেন,
“সেবা খাত, কৃষি খাত এবং শিল্প খাতের ত্রৈমাসিক হিসাব এসেছে। কৃষিতে খুবই কম। শিল্পে ২ পারসেন্ট, সেবা খাতে ২ পারসেন্টেরও কম। আমার নিজের ধারণা ছিল এই, এটা তো হল পহেলা… জুলাই, অগাস্ট, সেপ্টেম্বর, আমি নিজে ধারণা করেছিলাম, সংকোচন হবে।”
তথ্যের পরিমাপ বা তথ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যে কারণেই হোক, তারা কীভাবে মাপে বা আসলেই হয়ত, সংকোচন না হয়ে সম্প্রসারণ হয়েছে। কারণ মাসগুলো কী! জুলাই, জুলাই মাস তো পুরোটাই কাজ হওয়ার কথা না। শিল্প, শিল্পের ক্ষেত্রে তো অনেক বিশৃঙ্খলা ছিল। ইদানিং পর্যন্ত।”
তার ভাষ্য, “বিবিএসের কিছু তথ্য বোধ হয় আগে থেকেই… সাংবাদিকরা আমার থেকে অনেক আগে জানে। যেহেতু এখন বিবিএসের কোনো তথ্য আমি পর্যালোচনা করি না, আমার কাছে যা দেয় সেটা আমি প্রকাশ করে দেই।“
নতুন পরিসংখ্যান আইন হলে পরিস্থিতি বদলানোর আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এবং আমাদের নতুন যেই সংশোধিত পরিসংখ্যান আইন তৈরি করতে যাচ্ছি, আশা করি করতে পারব। সেখানেও বিবিএস তাদের যতটুকু সক্ষমতা আছে এবং বিশেষজ্ঞদের-বিভিন্ন বিষয়ে বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় যা প্রবৃদ্ধির হিসাব, মূল্যস্ফীতির হিসাব, কর্মসংস্থানের হিসাব, মজুরির হিসাব এগুলো তারা যা দেয় সেটাই পাবলিশ করতে পারবে।”
এসময় তিনি ‘চোখ বন্ধ করে’ তথ্য প্রকাশের কথা বলতে গিয়ে বলেন, “এখন পর্যন্ত যেহেতু আগের নিয়ম বলবৎ আছে কাজেই চোখ বন্ধ করে প্রকাশ করে দিতে হয় আমাকে। কিন্তু আমি ওটা দেখিও না।”
এদিন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একনেক সভায় ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ের ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।