চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।
Published : 01 Dec 2024, 08:16 PM
টানা চার মাস ধরে মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের ওপর রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা; সেই ধারায় নভেম্বরে এসেছে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি।
প্রবাসীরা ২০২৩ সালের একই মাসে তাদের স্বজনদের কাছে পাঠিয়েছিলেন ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করে তাতে দেখা গেছে ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা অর্থের প্রবাহ বাড়তে থাকার ধারা বজায় রয়েছে।
আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাচ্ছেন ১২০ টাকার বেশি। এ কারণেই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বাড়ছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।
সিটিজেনস ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাসুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্যাংক থেকে ডলারের দর বেশি মিলছে। সেটা খোলাবাজারের দরের সমান হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক খাতের ওপর প্রবাসীদের আস্থা বাড়ায় হুন্ডির দৌরাত্ম কমেছে।
“দেশে জুলাই-অগাস্টের ঘটনা নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে এক রকম ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। সেই ক্ষোভ কমছে। তাতে রেমিটেন্স বেশি পাঠাচ্ছেন। দেশের ওপর প্রবাসীদের আস্থা বাড়ছে।”
এছাড়া হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দোরাত্ম্য আগের চেয়ে কমার ইতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।
চলতি বছর মে মাসে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ডলারের দর এক লাফে ১১০ থেকে ১১৭ টাকায় উঠে যায়। পরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের দর নির্ধারণ করা হয় ১২০ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছর এপ্রিল থেকে দুই বিলিয়ন ডলার পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। মাঝে জুলাইতে শুধু তা এর নিচে নেমে যায়।
অবশ্য কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে জুলাইতে রেমিটেন্স আসা কমে যায় বলে জানান ব্যাংকাররা। দেশজুড়ে অস্থিরতা পাশাপাশি ওই মাসে ব্যাংক ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকাতেও রেমিটেন্সের প্রবাহে ধাক্কা লাগে। ওই মাসে এসেছিল ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
ছাত্র-জনতার ওই আন্দোলনে অগাস্টে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আবার বাড়তে থাকে রেমিটেন্স। অগাস্টে আসে ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বরে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন এবং আগের মাস অক্টোবরে আসে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
রেমিটেন্সের এ জোয়ারে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর র্যন্ত পাঁচ মাসে এসেছে ১১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের কই সময়ে যা ছিল ৮ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে রেমিটেন্স বেড়েছে ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।