"এর অন্যতম কারণ ছিল মোবাইল ফোনের বায়োমেট্রিক সমস্যা। এটি কীভাবে সমাধান করা যায় তার জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সঙ্গে কথা বলতে আমি নির্দেশনা দিয়েছি", বলেন তিনি।
Published : 23 Sep 2024, 06:44 PM
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দীর্ঘদিন ধরে অটোমেশন নিয়ে কথা বললেও তার অগ্রগতি যে খুব সামান্য তার প্রমাণ পেয়েছেন খোদ সংস্থাটির নতুন চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিবন্ধন করার সময় বারবার ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি, একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তার স্ত্রীও।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সহায়তায় সেবা কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এনবিআর প্রধান বলেন, "গত বছর আমি নিজেই ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে ফেইল করেছি। আমার স্ত্রী ও একই অভিজ্ঞতা ফেস করেছেন। এবারও একই অবস্থা হয়েছে।"
তিনি বলেন, "এর অন্যতম কারণ ছিল মোবাইল ফোনের বায়োমেট্রিক সমস্যা। এটি কীভাবে সমাধান করা যায় তার জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সঙ্গে কথা বলতে আমি নির্দেশনা দিয়েছি।"
অটোমেশনের ক্ষেত্রে আরও কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে, তা দূর করার জন্য উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন এনবিআর প্রধান।
করদাতার নিজের নামেই বায়োমেট্রিক দিয়ে মুঠোফোনের সিম নিবন্ধিত না থাকলে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানিয়ে সবাইকে প্রয়োজনে বায়োমেট্রিক দিয়ে নতুন সিম কেনার অনুরোধও করেন তিনি।
পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এনবিআর এর অনলাইনে নিবন্ধন এবং ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়ে বহু আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু এর অগ্রগতি খুব সামান্য।
বর্তমানে দেশে ‘ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ বা টিআইএনধারীর সংখ্যা এক কোটি চার লাখেরও বেশি। সেখানে রিটার্ন জমা হয় ৪০ লাখের মত। এর মাঝে কেবল ৫ লাখের মত করদাতা গত করবর্ষে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এর আগে এর সংখ্যা ছিল খুবই নগণ্য।
সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে গিয়ে চেয়ারম্যান নিজেও কর্মকর্তাদেরকে এই কার্যক্রম আরও সহজ করার লক্ষ্যে বিদ্যমান বাধা অপসারণের নির্দেশনা দিয়েছেন।
সার্ভিস সেন্টার পরিচালনায় সহায়তা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কো-অপারেশন বিভাগের প্রধান মিশেল ক্রেজা এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশের মত দেশে (জনসংখ্যা বিবেচনায়) অনলাইনে ৫ লাখের মত রিটার্ন দাখিল করা খুবই কম। আশা করি, এ বছর এটি প্রায় ১৫ লাখ হবে। যা খুবই ট্রিমেন্ডাস গ্রোথ।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “কর ফাঁকিবাজদের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে।”
তবে জনবল সংকটের কারা কারণে এখনই বড় আকারে ড্রাইভ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান চেয়ারম্যান।