অনলাইনে দাখিলের পর মূসক বা ভ্যাট অফিসে এসে সেটি জমা দেওয়া বা কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করারও আর প্রয়োজন থাকবে না।
Published : 05 Nov 2024, 08:36 PM
মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দাখিলপত্র বা রিটার্ন অনলাইনে জমা দেওয়ার পর কোনো কর্মকর্তা আর কাগুজে প্রমাণ বা দলিল চাইতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।
অনলাইনে দাখিলের পর মূসক বা ভ্যাট অফিসে এসে সেটি জমা দেওয়া বা কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করারও আর প্রয়োজন থাকবে না।
অনলাইনে দাখিলপত্র, সহগ ঘোষণা– ইত্যাদি জমার নিয়ম স্পষ্ট করে মঙ্গলবার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে এনবিআরের জনসংযোগ বিভাগ।
সেখানে বলা হয়েছে, করদাতাদের হয়রানি কমাতে এবং এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ কমাতে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ থাকলেও কোনো কোনো কর্মকর্তা ‘হার্ডকপি’ বা কাগুজে প্রমাণ চান, যা ‘আইনসঙ্গত’ নয়।
করদাতা ভ্যাটের প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়, যেমন সহগ ঘোষণা (প্রতি একক পণ্য উৎপাদনে বিভিন্ন উপকরণ বা কাঁচামাল ব্যবহারের পরিমাণ, অনুপাত বা হার), ট্রেজারি চালান অনলাইনে দাখিলের ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
তারপরও কেউ মূসক কার্যালয়ে (ভ্যাট সার্কেল অফিস) কাগুজে দাখিলপত্র দাখিল করতে চাইলে সার্কেল অফিসের গ্রহণ-প্রেরণ শাখা থেকে ‘রিসিভ’ করিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি দাখিলপত্র ডাকযোগেও পাঠানো যাবে।
কাগুজে দাখিলপত্র দাখিল করার পরিবর্তে সবাইকে অনলাইনে দাখিলপত্র দাখিল করার অনুরোধ জানিয়েছে এনবিআর।
বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ভ্যাট নিবন্ধিত কোম্পানি রয়েছে।
মূসক রিটার্ন দাখিলের আইনগত নির্দেশনা
মূসক রিটার্ন বা ভ্যাট রিটার্ন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর আওতায় নিবন্ধিত সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। নিবন্ধিত ডিপ্লোম্যাটদের ক্ষেত্রেও নিয়ম অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
প্রতি করমেয়াদের পূরণ করা ফরম করমেয়াদ পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পেশ করিতে হইবে। মূসক দপ্তর বা ভ্যাট অনলাইন সিস্টেম তা গ্রহণের তারিখই দাখিলপত্র পেশের তারিখ হিসাবে বিবেচিত হবে। অর্থ্যাৎ প্রতি মাসের মূসক রিটার্ন পরের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
দেরিতে দাখিলপত্র জমা বা একেবারেই জমা না দেওয়ার জন্য সুদ বা অর্থদণ্ড- বা উভয়ই প্রযোজ্য হতে পারে।
দাখিলপত্র পেশের আগে নিট কর আরোপযোগ্য হলে তা পরিশোধ করতে হবে।
দাখিলপত্র পেশ না করলে ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্বয়ংক্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মুখোমুখি হওয়ারও বিধান রয়েছে।