সোনার দোকানে চুরি, অলঙ্কার মিলল চা দোকানের ক্যাশ বাক্সে

হাজারি লেইনের একটি জুয়েলারি দোকানের চুরির ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছে এ ‘চোরের’ দোকান চুরির কাহিনী।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2022, 12:27 PM
Updated : 27 Dec 2022, 12:27 PM

পেশায় চা দোকানি হলেও প্রতিদিন ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন এলাকায়। জুয়েলারি কিংবা বড় কোনো দোকান লক্ষ্য করে ক্রেতা সেজে সেখানে গিয়ে কথা বলেন মালিকের সঙ্গে। পরে সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নিতেন স্বর্ণালঙ্কার, টাকা কিংবা মোবাইল ফোন।

চট্টগ্রামে স্বর্ণকার এলাকা বলে খ্যাত হাজারি লেইনের একটি জুয়েলারি দোকানের চুরির ঘটনায় মঙ্গলবার এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছে এ ‘চোরের’ দোকান চুরির কাহিনী।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আমির হোসেন (৩৮), নগরীর চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা ওয়াসা রোডে তার বাসা।

হাজারি লেইনের উদয়ন জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকানের চুরির ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করে চুরি করা ১৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয় তার কাছ থেকে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, কোতোয়ালি থানার এসআই মোমিনুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার উদয়ন জুয়েলার্সের মালিক তার দোকান থেকে ১৯ ভরি পাঁচ আনা চার রত্তি ওজনের বেশকিছু সোনার চেইন, হাতের ব্রেসলেট, কানের দুলসহ বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেন।

“সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চুরির বিষয়টি দেখে অভিযানে নামে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল। পরবর্তীতে চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায় আমির হোসেনের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে তার চা দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে চুরি করা অলঙ্কারগুলো উদ্ধার করা হয়।”

এসআই মোমিনুল বলেন, “আমির তার বাসার কাছে একটি চায়ের দোকান চালায়। কিন্তু সে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে জুয়েলারি, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন দোকান টার্গেট করে চুরির জন্য। পরে সুবিধাজনক সময়ে গিয়ে সে দোকান থেকে চুরি করে মালামাল নিয়ে আসে।”

উদয়ন জুয়েলার্সে চুরির বর্ণণা দিয়ে তিনি জানান, রোববার সকালে আমির ক্রেতা সেজে উদয়ন জুয়েলার্সে গিয়েছিলেন। মালিককে বিয়ের জন্য বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার কেনার কথা বলে পরদিন আসবেন জানিয়ে মালিকের ফোন নম্বর নিয়ে আসেন।

“সোমবার সকালে আমির হাজারি লেইনে দোকানের কাছে গিয়ে মালিককে ফোন করে তার দোকান চিনছেন না জানিয়ে এগিয়ে নিতে বলেন। জুয়েলার্স মালিক এগিয়ে আনতে দোকান থেকে বের হয়। এ সুযোগে আমির দোকানে ঢুকে ভল্ট খুলে বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণের অলঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়।”