চট্টগ্রামে ২ বোনের খোঁজ মেলেনি ৫ দিনেও

সৎ মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না হওয়ায় তারা বাসা থেকে চলে গিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2022, 04:09 PM
Updated : 28 Sept 2022, 04:09 PM

চট্টগ্রামে পাঁচ দিন ধরে ৮ ও ১৬ বছর বয়সী দুই বোনের খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার।

শুক্রবার নগরীর চান্দগাঁওয়ের বাসা থেকে বেরিয়ে তারা নিরুদ্দেশ হয়। এ ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন তাদের বাবা।

নিখোঁজ মিতু আক্তার মিলি (১৬) ও মরিয়ম আক্তার (৮) মো. মিরাজের মেয়ে। তাদের বাড়ি বরিশাল সদরের কর্ণকাঠি এলাকায়। মাস কয়েক আগে তারা (মেয়ে) চট্টগ্রামে বাবার কাছে চান্দগাঁওয়ে আসে।

পুলিশ বলছে, সৎ মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না হওয়ায় তারা বাসা থেকে চলে গিয়ে থাকতে পারে।

মিরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগের স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। ওই স্ত্রীরই সন্তান তারা। মেয়ে দুটি বরিশালে থাকলেও গত কোরবানির ঈদের আগে চট্টগ্রামে তার কাছে আসে।

“গত শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যে কোনো সময় তারা চান্দগাঁও থানার সানোয়ারা আবাসিক এলাকার মোস্তাক বিল্ডিংয়ের বাসা থেকে দরজার বাইরে ছিটকিনি লাগিয়ে বের হয়ে যায়।”

তারা কাপড়-চোপড়ও নিয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আত্মীয় স্বজন কারও কাছে যায়নি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও তাদের সন্ধান না পেয়ে পরদিন চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।”

তিনি আরও জানান, মেয়েদের সন্ধানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে ছবি প্রচার ও একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন। গত সোমবার তিনটি নম্বর থেকে তাকে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়ে মেয়ের সন্ধান দেওয়ার কথা বলে ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হয়।

বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি ফোন করেছিল তাকে আমার মেয়েদের ছবি দিতে বললে তারা সেটি না দিয়ে একটি রক্তাক্ত ছবি পাঠিয়েছেন আমার কাছে। অলঙ্কার মোড় থেকে ওই ব্যক্তি ফোন করেছেন বললেও মেয়েদের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন দেননি।”

এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ওসি মঈনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মনে হচ্ছে ‘পারিবারিক’ কারণে দুই বোন বাসা থেকে চলে গেছে। বাবার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর তাদের মা থাকেন শরীয়তপুরে। সৎ মায়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো নেই বলে জেনেছি।

যাওয়ার সময় তারা তাদের কাপড়চোপড় ও বইপত্র সঙ্গে নেওয়ার কথা জানান ওসি।

ওসি বলেন, “বিষয়টি আমর খতিয়ে দেখছি এবং তাদের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছি। তবে যে ব্যক্তি ফোন দিয়ে টাকা দাবি করছেন তিনি প্রতারক বলে মনে হচ্ছে।”