চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের’ সক্ষমতা বাড়াতে যুক্ত হয়েছে ‘ডগ স্কোয়াড’।
Published : 31 Dec 2023, 02:09 PM
এ স্কোয়াডে আছে নয়টি কুকুর; স্কোয়াডের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কে-নাইন ইউনিট’।
রোববার মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে ‘কে- নাইন ইউনিট’ এর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এ ডগ স্কোয়াডটি চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একটি মাইল ফলক এবং সক্ষমতার মাত্রা হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
যেকোনো বিষ্ফোরক বা মাদক সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধ এবং উদঘাটনে ‘কে-নাইন ইউনিট’ সহায়তা করতে পারবে এবং এতে সিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করেন নগর পুলিশ প্রধান।
সিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যদের সার্বিক প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আভিযানিক সক্ষমতা অন্য যেকোনো বাহিনীর চেয়ে কম নয় এবং দেশের যেকোনো স্থানে দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করতে তারা সক্ষম বলেও বিশ্বাস সিএমপি কমিশনারের।
আগামী নির্বাচনে ‘প্রয়োজনে’ ডগ স্কোয়াড কাজে লাগতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের নামে নির্বাচনকে বানচাল করতে অনেক কেন্দ্রে বোমাবাজি ও বোমা হামলা করা হয়েছে। এবারও যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সেটা উদঘাটন এবং প্রতিরোধে এ স্কোয়াড কার্যকরভাবে কাজে লাগবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডগ স্কোয়াড ‘কে-নাইন ইউনিট’ মহড়া প্রদর্শন করে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ থেকে বলা হয়েছে, ‘কে- নাইন ইউনিটে’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ২৭ জনকে। তারা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।
নেদারল্যান্ডস থেকে আনা এই ৯টি কুকুরের মধ্যে পাঁচটি বিস্ফোরক এবং চারটি মাদকদ্রব্য শনাক্তে পারদর্শী। এই ইউনিটের নিয়োজিত সদস্যরা নেদারল্যান্ডস এবং ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
কুকুরগুলো বাংলাদেশে আনা হয় গত বছর। অবকাঠামো না থাকায় এতদিন সেগুলো ঢাকা মহানগর পুলিশের ‘ডগ স্কোয়াডের’ সঙ্গে রাখা হয়েছিল। গত সপ্তাহে এই নয়টি কুকুর চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
কুকুরগুলো রাখার জন্য মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।