‘নাশকতা’ প্রতিরোধে ‘স্কোয়াড’ গড়তে বললেন নাছির

‘নাশকতাকারীদের’ চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে বলছেন চট্টগ্রামের এই আওয়ামী লীগ নেতা।

‘নাশকতা ও অরাজকতা’ প্রতিরোধে এলাকায় এলাকায় ‘প্রতিরোধ স্কোয়াড’ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

তিনি বলেছেন, “এখন থেকে প্রতিটি থানা, ওয়ার্ডে ও ইউনিটে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এলাকাবাসীকে নিয়ে নাশকতা ও অরাজকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ স্কোয়াড গড়ে তুলতে হবে। এবং যেখানে অরাজকতা ও নাশকতা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে যায়, সেখানে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে।”

শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় নাসির এ আহ্বান জানান।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক এই মেয়র বলেন, “আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বোঝান, বিএনপি জামায়াত হাজার হাজার অপকর্মের খলনায়ক। তারা মানুষ হত্যা করেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে, সরকারি সম্পদ লুণ্ঠন করেছে– এই চিত্রগুলো তাদের জানান দিন।“

সংগঠনের সাংগঠনিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করার জন্য দলের প্রতিটি স্তরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্যের সেতুবন্ধন রচনা করারও তাগিদ দেন নাছির।

বর্ধিত সভা থেকে চট্টগ্রামে দলের জনসভার আগামী তারিখও ঘোষণা করেন নাসির।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে এবং জামায়াত শিবিরের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, নাশকতা ও অরাজকতার বিরুদ্ধে আগামী ২৮মে রোববার বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী এক বিশাল জনসভা হবে।”

ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে মিছিল নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিটকে জনসভায় আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

দলের বর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, “বিএনপি-জামাত মরণ কামড় দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের কাছে সাধারণ মানুষ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার কোনো মূল্য নাই।”

মাহতাবের কথা হল, এদেশের মানুষই আওয়ামী লীগের ভিত্তি। তাই মানুষের জানমালের ওপর কোনো আঘাত এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ ‘পাল্টা আঘাত’ করতে প্রস্তুত আছে।  

আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ‘জনবান্ধব’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক সেটা বড় কথা নয়, আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। রাজপথের লড়াই সংগ্রামের অভিজ্ঞতা আছে। জনগণের দুযোর্গ, দুর্বিপাকে আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে থেকেছে।”

নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ, নগর কমিটির উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, জহর লাল হাজারী।

১৫টি থানা, ৪৪ সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়করাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।