মেয়র রেজাউল বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আর অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পারে যুক্তরাজ্য।
Published : 16 Nov 2023, 05:47 PM
চট্টগ্রাম নগরীর চার সমস্যার সমাধান এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইলেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার নগরীর টাইগার পাসে অস্থায়ী নগর ভবনে যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার সারাহ কুক মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মেয়র রেজাউল বলেন, “চট্টগ্রামের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে লজিস্টিকস সক্ষমতা বাড়াতে অবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে লন্ডনের টেমস নদীর তলদেশের মতো কর্ণফুলী নগরীর তলদেশে টানেল চালু হয়েছে।
“পাশাপাশি আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে পুরো শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে চলছে দশ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। এই ব্যাপক বিনিয়োগের ফলে চট্টগ্রাম বৈদেশিক বিনিয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাজ্য এই সোনালী সুযোগকে কাজে লাগাতে চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করলে বেশ লাভবান হবে।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বলেন, “বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষিতে জলাবদ্ধতা, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আর অবকাঠামো এ চারটি খাতকে প্রাধান্য দিচ্ছি আমি। যুক্তরাজ্য এ চারটি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পারে। যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে চাই।”
এসময় যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার সারাহ কুক বলেন, নগরায়নের যেসব সমস্যা চট্টগ্রাম মোকাবিলা করছে তাতে সহায়তা দিতে ইউএনডিপি যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে তার অন্যতম প্রধান দাতা যুক্তরাজ্য।
“যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ করদাতা প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামের ইউনিলিভারের এক কারখানাই ৯০০ জন লোকের সরাসরি কর্মসংস্থান এবং আরো প্রায় ২০ হাজার লোকের পরোক্ষ জীবিকার যোগান দিচ্ছে।”
সারাহ কুক বলেন, “আমরা বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আরো কোন কোন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে তা খুঁজছি। যুক্তরাজ্যের আরো অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিশেষ করে চট্টগ্রামে শিল্প কারখানা গড়তে চায়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আস্থা বাড়াবে।”
মেয়র রেজাউল মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দ্রুত কমনওয়েলথের সদস্যপদ দেওয়ায় যুক্তরাজ্যের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ভবিষ্যতেও সহযোগিতার এ ধারা চলমান থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মেয়র রেজাউল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, ঢাকার ব্রিটিশ হাই কমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) ব্রায়োনি কর এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক পরিচালক ড্যান পাশা।