ট্রেন চালু করতে সকালে ট্রেন চালকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Published : 09 Feb 2024, 06:46 PM
দুর্ঘটনার জেরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ভাংচুরের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় দিনের মত শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বিভিন্ন বিভাগের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা যাতে নগরী থেকে ক্যাম্পাসে গিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন, সেজন্য শাটল ট্রেনের বিকল্প হিসেবে আটটি বাস চালু করা হয়েছে সোমবার সকাল থেকে।
এদিকে শাটল ট্রেন চালু করতে সকালে ট্রেন চালকদের সাথে বৈঠকে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রেলওয়ের সাথে আমাদের এখন আলোচনা চলছে। লোকোমাস্টাররাও আছেন। আশা করি ট্রেন চলাচলের বিষয়টি সুরাহা হবে।
“নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে৷ এখন পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ থাকায় আমরা শিক্ষার্থীদের শহর থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য আটটি বাস বরাদ্দ দিয়েছি।"
এর মধ্যে তিনটি বাস নগরীর বটতলী থেকে এবং পাঁচটি বাস ষোলোশহর থেকে ক্যাম্পাসের পথে চলাচল করবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট স্টেশনের কাছে পৌঁছালে সেখানে একটি ভেঙে পড়া গাছের সাথে ধাক্কা খায় ট্রেনের ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা। তাতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। আহত ৯ জনকে সেদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শাটল ট্রেনে দুর্ঘটনার পর লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকো মাস্টারকে লাঞ্ছিত করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখানেই ট্রেন রেখে চলে যান তারা। পরে গত শুক্র ও শনিবার নিরাপত্তার দাবিতে আর ট্রেন চালাননি চালকরা।
সহপাঠীরা আহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত দুইটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের একাংশ উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে সেখানে ভাংচুর চালায়। সেসময় বাসভবনে ছিলেন না উপাচার্য শিরীণ আখতার।
পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরে গিয়ে সেখানে থাকা শিক্ষকদের বেশ কয়েকটি বাস ভাংচুর করে। এসময় সেখানে থাকা ২৪টি বাস, ১৫টি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার ও একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়।
এরপর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবেও হামলা চালায়। সেখানে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। সেখানে থাকা শিক্ষকরা একটি কক্ষে আশ্রয় নেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও ভাংচুরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের নেতাকর্মীরাও ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদালয়ের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়ালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই এলাকা ছেড়ে যান। এরপর রাত ২টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)