বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে ‘বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট’ দেওয়ার মতো: হাছান

বিশ্বব্যাপী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে, তা বিএনপি নেতারা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2023, 11:37 AM
Updated : 19 May 2023, 11:37 AM

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিকে ‘বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট’ দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।  

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন ওপেনিং সেরিমনিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “গাড়ি বসে গেলে ওটাকে মাঝে মধ্যে স্টার্ট দিতে হয়, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচিও হচ্ছে সেরকম- বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার মতো। কারণ বিএনপি দলটাইতো বসে গেছে। মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেয়ার জন্য, যাতে জং ধরে না যায় সেজন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। 

“আমার মনে হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেবসহ বিএনপির নেতারা, বিশ্বময় যে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা, তার প্রতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের বা বিশ্বঅঙ্গনের যে আস্থা, সেটি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।” 

অস্তিত্বের প্রশ্নে সরকার আবোল-তাবোল বকছে এবং বেসামাল হয়ে গেছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল যে মন্তব্য করেছেন তার জবাবে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।  

সরকার দেশে-বিদেশে আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে এখন ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে গত ১৬ মে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। 

“সেই প্রস্তাব এবং বাংলাদেশের সাথে কো-স্পন্সর  হয়েছে একাত্তরটি দেশ। এরপরও জননেত্রী শেখ হাসিনা কিংবা সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় কি আছে- এটি বলার কোনো প্রয়োজন নেই।” 

এর আগে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন ওপেনিং সেরিমনিতে হাছান মাহমুদ বলেন, “পাঠদান আর সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয়। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ব অঙ্গনে যাতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে, বিশ্বময় সে যাতে দাপিয়ে বেড়াতে পারে, তার যোগ্যতাকে তুলে ধরতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষানিকেতন।” 

ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো কিছুই প্রতিবন্ধকতা নয়, প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ভয় ও প্রচেষ্টার অভাব এবং স্বপ্ন দেখতে না পারা। স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্টাকে যুক্ত করতে হবে। অভিভাবকদের স্বপ্ন দেখাতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য তারা যাতে প্রচেষ্টাকে যুক্ত করে, সেটিই তাদের শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে সব স্বপ্ন নাহলেও অনেক স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হবে।” 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর মুহাম্মদ সিকান্দর খান। 

প্রধান বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্টার সজল কান্তি বড়ুয়া।