এলএনজি টার্মিনালের সংস্কার কাজ শেষে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে মাস খানেক সময় লাগতে পারে।
Published : 22 Oct 2023, 07:41 PM
চট্টগ্রাম নগরীর আবাসিক এলাকায় দুদিন ধরে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।
আগাম বার্তা ছাড়াই শনিবার সকাল থেকে বাসা বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ারা কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
তারা বলছেন, নগরীর লাভলেইন, আসকার দিঘীর পাড়, কাজীর দেউড়ি, চকবাজার, বহদ্দারহাট, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন এলাকায় শনিবার গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। রোববার সকালেও একই অবস্থা দেখা যায়, তবে দুপুরের পর থেকে কিছু কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে।
লাভলেইন এলাকার বাসিন্দা মিতু চৌধুরী রোববার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল সকালে চুলায় রান্না করার সময় হঠাৎ চাপ কমে যায়। পরে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। বিকালের দিকে পুনরায় তা চালু হয়। আজ সকালেও গ্যাসের চাপ ছিল না।”
এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় চট্টগ্রামে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড-কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ।
গ্যাস বিতরণকারী রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রহকদের চাহিদা মেটাতে এলএনজিও যুক্ত করতে হয় আমাদের। সংস্কারের জন্য গতকাল (শনিবার) সেখান থেকে এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ কম করা হচ্ছে, যার কারণে গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে।”
কেজিডিসিএল কর্মকর্তা আমিনুর জানান, এ কোম্পানির অধীনে দুটি সার কারখানা ও একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস লাইন আছে। বোরো মৌসুম সামনে রেখে দুই সার কারখানায় উৎপাদন ঠিক রাখতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনও স্বাভাবিক রাখতে শিকলবাহা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে।
“৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস হলে দুইটি সার কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আবাসিক এবং বাণিজ্যিক সব দিক ঠিকভাবে গ্যাস সরবরাহ করা যায়। কিন্তু গতকাল আমরা গ্যাস পেয়েছি ২৯০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ১২০ থেকে ১২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হয় দুইটি সার কারখানা এবং একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।”
পাঁচ বছর পরপর এলএনজি জাহাজের সংষ্কারের প্রয়োজন পড়ে জানিয়ে কেজিডিসিএলের এ কর্মকর্তা বলেন, “কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটির পাঁচ বছর হয়ে গেছে। এখন সংস্কারের জন্য সেটি ড্রাই ডকে নেওয়া হবে। ওই কারণেই মূলত চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
সংস্কার কাজ শেষ করে স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে মাস খানেক সময় লাগতে পারে বলে জানান মহাব্যবস্থাপক আমিনুর।
তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আজ (রোববার) আমাদের বৈঠক হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে মাস খানেক লাগলেও কয়েকদিনের মধ্যে মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি কমে আসবে বলে আশা করছি।”