সরকার ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ করছে: বিএনপির শাহাদাত

“আইনগতভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন করা হলেও সরকারের হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি,” বলেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে সরকার ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

শনিবার নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে প্রেরণের’ দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত অনশন কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

চট্টগ্রাম নগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।

শাহাদাত হোসেন বলেন, “বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় সুচিকিৎসার অভাবে তার অসুস্থতা তীব্র হয় এবং তার জীবন হুমকির মুখে পড়ে। আইনগতভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন করা হলেও সরকারের হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি।

“আইনি লড়াই করতে বিদেশ থেকে আইনজীবী আসতে চাইলেও সরকারের আপত্তির কারণে তাকে আসতে দেওয়া হয়নি। বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে তার পরিবার থেকে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু উনাকে সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেত্রী। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, এটা অমানবিক। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ।”

নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য উনার বহু অবদান রয়েছে। উপমহাদেশের এই জনপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন নোংরা রাজনীতি করছে। তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির বিরোধিতা করছে সরকার।

“আমরা সরকারকে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে উনাকে বিদেশে চিকিৎসা করার সুযোগ দেওয়া হোক। কারণ, তিনি গণতন্ত্রের নেত্রী। উনার যদি কিছু হয়ে যায়, এর সব দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। আমরা আশা করব, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।”

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার বেলা ২টায় ফলের রস পান করিয়ে বিএনপি নেতাদের অনশন ভঙ্গ করান।

নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এনামুল হক, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম।