‘পানির অভাবে’ ৯ ঘণ্টায়ও নেভানো যায়নি সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামের আগুন

আগুন নিয়ন্ত্রণে আটটি ইউনিট কাজ করছে; সেনাবাহিনীর সহায়তাও চাওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2023, 02:43 PM
Updated : 11 March 2023, 02:43 PM

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে লাগা আগুন নেভাতে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছোট কুমিরা এলাকার নেমসন কন্টেইনার ডিপো সংলগ্ন একটি তুলার গুদামে আগুন লাগে; নয় ঘণ্টার চেষ্টাও তা নেভানো সম্ভবপর হয়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।

ওই গুদামে ইউনিটেক্স নামে একটি কোম্পানির আমদানি করা তুলার মজুদ ছিল।

সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, গুদামটিতে পানির কোনো রিজার্ভার নেই। পাশ্ববর্তী নেমসন কন্টেইনার ডিপোর আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভারের মজুদ করা পানিও শেষ হয়ে গেছে। যার কারণে দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।

“আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের জিওসি মহোদয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পানিবাহী গাড়িগুলো এলে এবং তারাও যদি আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয় তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।”

এসএল গ্রুপের মালিকানাধীন গুদামটি ইউনিটেক্স গ্রুপ ভাড়া নিয়ে তাদের আমদানি করা তুলা মজুদ রেখেছিলেন বলে জানান জেলা প্রশাসনের এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে গুদামটিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল বলে প্রাথমিকভাবে তারা জেনেছেন। আর ওয়েল্ডিংয়ের আগুনের স্ফুলিঙ্গের থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা তাদের।

কুমিরা ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ সন্ধ্যায় বলেন, তুলা, পাট ও জুটে লাগা আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। গুদামটি ছিল তুলাভরতি।

আগুন নেভাতে কুমিরা স্টেশনের পাশাপাশি সীতাকুণ্ড এবং শহর থেকে আগ্রাবাদ ও বায়েজিদ ফায়ার স্টেশনের আরও কয়েকটি ইউনিট যোগ দিয়েছে। সবমিলিয়ে আটটি ইউনিট কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে পানি ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে আগুন অন্য দিকে ছড়িয়ে না পড়ে। আগুন গুদামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

আরও পড়ুন

Also Read: সীতাকুণ্ডে পুড়ল তুলার গুদাম