বেঁচে থাকলে আগামী নির্বাচনেও ভোট দিব,” বলেন একানব্বই বছর বয়সী মোহাম্মদ ইসহাক।
Published : 07 Jan 2024, 12:29 PM
একানব্বই বছর বয়সী মোহাম্মদ ইসহাক এক তরুণের সহায়তা নিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়ার খানমোহনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন।
মোহাম্মদ ইসহাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতি সংসদ নির্বাচনে আমি ভোট দিতে আসি। পাকিস্তান আমল থেকে ভোট দিচ্ছি। আমাকে ভোট দিতে আসতে কেউ বলেনি।
“চোখে একটু কম দেখি তাই একজনকে সাথে নিয়ে এসেছি।”
ভোটের পরিবেশ নিয়ে খানমোহনা পশ্চিম পাড়ার এই বাসিন্দার মূল্যায়ন হল, “পোলিং অফিসার সহায়তা করেছেন। ভোটের পরিবেশ ভালো সুন্দর আছে। যাকে ভোট দিয়েছি আশা করি তিনি বিজয়ী হবেন। বেঁচে থাকলে আগামী নির্বাচনেও ভোট দিব।”
একই কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আরেক প্রবীণ খলিলুর রহমান (৭০)।
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে সব ভোট দিয়েছি। এবারও দিতে এসেছি। ঘরে স্ত্রী ও ছোট নাতি আছে।”
তিনিও এক যুবককে সাথে নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন। একরামুল হক মিলন নামের ওই যুবক নৌকার সমর্থক বলে জানা গেছে।
খানমোহনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ২২২৫ জন। ৫টি বুথে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৪৩৭ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রটির কোনো বুথেই নৌকা ছাড়া কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি।
নগরীর ভোটকেন্দ্রগুলোতে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। উপজেলার কেন্দ্রগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে সকাল থেকে ভোটারের লাইন দেখা গেছে।
চট্টগ্রামের সব আসন মিলিয়ে মোট ভোট কেন্দ্র ২০২৩টি এবং ভোট গ্রহণ কক্ষ ১৩ হাজার ৭৩২টি। জেলার ২ হাজার ২৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৪৬৩টিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে; শতাংশের হিসেবে যা ৭২ শতাংশের বেশি।
এরমধ্যে জেলায় ১০১৩টি কেন্দ্র এবং নগরীতে ৪৫০টি কেন্দ্র ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
আওয়ামী লীগসহ ২০টি দল এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে ১৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আছে ১২৫ প্রার্থী। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে আওয়ামী লীগের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যেই।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এবার মোট ভোটার ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন, নারী ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫৬ জন।