কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচরে সিএমপির অধীনে প্রথম নৌ তদন্ত কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক।
Published : 04 Feb 2024, 06:56 PM
সিদ্ধান্তের ২২ বছর পর কর্ণফুলী নদীর নিরাপত্তায় ডাঙ্গারচরে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অধীনে প্রথম নৌ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
রোববার পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রস্তাবিত চারটি তদন্ত কেন্দ্রের প্রথমটি উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে নৌ পুলিশের আলাদা ইউনিট চালু হওয়ার পরও এ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের ফলে দুই ইউনিটের কাজের মধ্যে সমস্যা হবে কি না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, দুই ইউনিটের মধ্যে কোনো জটিলতা হবে না। বড় এলাকাজুড়ে নৌ পুলিশের বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। নদীর নিরাপত্তায় নৌ পুলিশ কাজ করছে। নৌ তদন্ত কেন্দ্রটি নদীর পাশাপাশি বন্দর এলাকার নিরাপত্তার কাজও করবে। উভয় ইউনিট যৌথভাবে ফলপ্রসুভাবে কাজ করবে।
কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচরে প্রথম নৌ তদন্ত কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নগরীর চাক্তাই, গুপ্তখাল ও কর্ণফুলী উপজেলার রাঙাদিয়ায় আরও তিনটি নৌ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলেছেন নগর পুলিশ কর্মকর্তারা।
শাহ আমানত সেতু থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত বন্দর চ্যানেলের নিরাপত্তা জোরদার করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০২ সালের দিকে নৌ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানায়। এরপর ২০০২ সালে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে দুটি করে চারটি নৌ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরমাঝে ২০১৩ সালে নদীর নিরাপত্তায় নৌ পুলিশ ইউনিট প্রতিষ্ঠা হয়।
এদিকে সম্প্রতি নগরীর চাক্তাই এলাকায় মেরিনার্স সড়কের পাশে আরও একটি জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাঙ্গাদিয়া ও গুপ্তখাল এলাকার জায়গা পাওয়ার জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের কর্মকর্তারা।
শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশে ‘জিরো টলারেন্স’
নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে পুলিশে হেফাজতে মৃত্যুসহ বাহিনীর সদস্যদের শৃঙ্খলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ মহাপরিদর্শক আল মামুন বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ সুশৃঙ্খল বাহিনী। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করি। সরকারের বিধিবিধান যথাযথ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার সদস্যের এ বাহিনীর শৃঙ্খলা বজায় রাখছি।”
পুলিশ সদস্যরা নিজেদের দায়িত্ব সুশৃঙ্খলভাবে যথাযথভাবে পালন করছে দাবি করে তিনি বলেন, “দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পেশাগত পর্যায়ে আমরা এক ঈর্ষণীয় পর্যায়ে অবস্থান করছি।”
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, “যেকোন মৃত্যু অনাকাঙ্খিত। আমাদের হেফাজতে যে মৃত্যু হয় সেটার একটা প্রটোকল আছে, সেটা আমরা ফলো করি। প্রটোকল অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহালের পর পোস্ট মটেম হয়ে থাকে। ডাক্তারের মতামত, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্তের ভিত্তিতে যে তথ্য বের হয়ে আসে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটা করা হয়ে থাকে। সেখান থেকে বিচ্যুত হবার সুযোগ নেই।
“কাউকে ছাড় দেয়ার নীতি আমরা অবলম্বন করি না। যে দায়ী হবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।”
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা উপস্থিত ছিলেন।