নৌকার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন পড়ে যান পানিতে।
Published : 23 Jun 2024, 01:36 PM
চট্টগ্রামে ফেরির সঙ্গে নৌকার ধাক্কায় নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ ১৮ ঘণ্টা পরও উদ্ধার করা যায়নি।
রোববার সদরঘাট নৌ থানার ওসি একরাম উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার রাত পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিকে পায়নি। রোববার সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
ওসি জানান, কালুরঘাট এলাকায় তল্লাশির পাশাপাশি নৌ পুলিশের দুইটি দল হালদা নদী এবং পতেঙ্গা এলাকায় তল্লাশি করছে। বেলা সোয়া ১২টা পর্যন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা একরাম বলেন, নদীতে এখন ভাটা চলছে। বেলা ২টার দিকে জোয়ার আসবে। ওই সময় ফেরি চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রেখে পন্টুনের নিচে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা পুনরায় তল্লাশি চালাবে।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম পাড় (শহর অংশ) থেকে বোয়ালখালী যাওয়ার পথে যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ফেরির সঙ্গে ধাক্কা খায়। তাতে নৌকা উল্টে কয়েকজন পানিতে পড়ে যায়।
তাদের মধ্যে আশরাফ উদ্দিন কাজল নামে একজন নিখোঁজ হন। তিনি বোয়ালখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক; বাড়ি উপজেলার পূর্বগোমদণ্ডী গ্রামে।
এদিকে ফেরির সঙ্গে নৌকার ধাক্কা লাগার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, কালুরঘাট পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে (বোয়ালখালী অংশে) যাওয়ার জন্য যাত্রীবাহী একটি নৌকার সামনের অংশে চারজন যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিল।
নৌকার ইঞ্জিন চালুর করার পরপরই দাঁড়িয়ে থাকা ফেরিতে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এসময় সামনে থাকা দুজন পানিতে পড়ে যায়।
ওসি একরাম উল্লাহ বলেন, নৌকাটির যাত্রী আসনে যাত্রীরা বসে ছিল। কিন্তু কয়েক জন দাঁড়িয়ে ছিল।
“আমাদের ধারণা, শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকাগুলোর ইঞ্জিন চালুর পর পেছনে পানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু সামনের অংশে যাত্রী থাকায় ইঞ্জিনের পেছনে পানি পাওয়া যায়নি। ওই সময় স্রোত থাকায় নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরিতে গিয়ে ধাক্কা দেয়।”
বোয়ালখালী উপজেলার সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরকে যুক্ত করেছে কালুরঘাট সেতু। সংস্কারের জন্য সেতুতে ১০ মাস ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরি চালু করা হয়। ফেরিঘাটের দুই পাড়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকাতেও যাত্রী পারাপার হয়।
পুরনো খবর